
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ সে জানুয়ারির দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসম্মতি জানাল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। পরাক্রম দিবস নামটিতে বিশেষ অসম্মতি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ পুরুলিয়ার সভা শেষ করে গণমাধ্যমের সামনে নেতাজির জন্মদিন পালন নিয়ে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার যা ঘোষণা করেছে, তা একান্তই কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। তবে, পরাক্রম দিবস নামে খুশি নন তাঁরা। নেতাজির জন্ম দিনের দিনটিকে দেশনায়ক দিবস বা দেশপ্রেম দিবস নামকরণ করলে ভালো হতো। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, সেদিনটিকে যেভাবে ইচ্ছে পালন করতে পারেন দেশবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেদিন ১২ টার সময় শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তির সামনে সকলে উপস্থিত হবেন। সেখান থেকে শুরু হবে পদযাত্রা।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
ইতিপূর্বে পরাক্রম দিবস নামটিতে আপত্তির কথা জানিয়েছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, ২৩ সে জানুয়ারি দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় তাঁরা সন্তুষ্ট নন। মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে ছিলেন এই দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক। কেন্দ্রীয় সরকার তা মেনে নেয়নি। তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করবেন। তাঁরা তাদের মত করে দিনটিকে পালন করবেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনে সুবিধা পেতেই কেন্দ্র এ দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
২৩ সে জানুয়ারির দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা প্রসঙ্গে নেতাজির পরিবারের অন্যতম সদস্য সুগত বসু জানালেন যে, দেশের মানুষের কাছ থেকে নেতাজি কেন এত ভালোবাসা পেয়েছেন? সেটার কথা সকলকে মনে রাখতে হবে। নেতাজির আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। নেতাজি হিন্দু-মুসলমান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছিলেন। তিনি শুধুমাত্র যোদ্ধা ছিলেন না, সে বিষয়টি জেনে রাখা দরকার।