সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তরফের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরপ্পা মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সেই প্রসঙ্গেই ট্যুইটারে নিজের মত প্রকাশ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে এ জয় গণতন্ত্রের। এছাড়াও ধন্যবাদ জানালেন দেবেগৌড়া,কুমারস্বামী এবং কংগ্রেসের অন্যান্য দলীয় নেতাদেরকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসে রাজ্যের বিজেপিপার্টি। ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কর্নাটকের ভোটের সঙ্গে এ রাজ্যের সদ্য সম্পন্ন হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনা টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন মুকুলবাবু। জানান, কর্নাটকে ৫ কোটি মানুষ সঠিক সুরক্ষাব্যবস্থায় ভোট দিল। একজনেরও মৃত্যুর কোনো খবর নেই। অথচ এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ৩০ জন প্রাণ হারাল এবং ভোট গননা দিন মারা গেলো ৩ জন। “গণতন্ত্রবিরোধী কাজ হলেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে এবং প্রশংসাও করেন।” এমনটাই জানান মুকুলবাবু।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
এর পাশাপাশি তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের হিংসার রাজনীতির খতিয়ান তুলে ধরে বলেন যে ৩৪% আসনে তো মনোনয়নই দিতে দেওয়া হল না বিরোধীদের। এরসঙ্গে একনাগাড়ে চলেছে ছাপ্পা ভোট তৃণমূলের নেতাদের তরফ থেকে। এরসঙ্গে তিনি মুখ খুললেন উওরবঙ্গের ভোটের ফল নিয়ে। জানালেন, বিজেপি ঝান্ডা গেড়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং পঞ্চায়েত সমিতিতেও। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই কারচুপি করাও শুরু হয়েছে। বের করে দেওয়া হয়েছে বিজেপির এজেন্টদের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংসদ এবং এসপি নাকি জোটবদ্ধ ভাবে লুটেছেন শাসকদলের ভোট। এর পাশাপাশি একইভাবে লুট করা হয়েছে উওর ২৪ পরগনা,নদীয়া,পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও। শাসকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি জানান যে, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা সহ্য হল না তৃণমূলের। গেরুয়াশিবিরের জয় দেখে আসন হারানোর ভয় পেয়ে তাঁরা লুট করতে থাকে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ভোটগুলো অযথা গন্ডোগোল সৃষ্টি করে।