
উত্তর প্রদেশের বেহাল দশা নিজের হাতে ঠিক করতে যোগী আদিত্যনাথ এবার উঠে পরে লাগলেন। যদিও ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি রাজ্যকে নতুন ভাবে সাজাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, আর এবার রাজ্যের অপরাধ প্রবণতা ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে এই কড়া পদক্ষেপের দাওয়ায় দিলেন। গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে তিনি হুঙ্কার ছাড়েন তিনি অপরাধীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন। সাথে তিনি জানান যে তাঁর রাজ্যের অপরাধীদের জন্য দুটো জায়গা আছে আর তাহল হয় জেল আর না হলে পুলিশের এনকাউন্টারে যমের বাড়ি। এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে ২০১৭ সালের মার্চের আগে এই রাজ্যে অনেক বেশি দুষ্কৃতী তাণ্ডব ছিল, তাই এই রাজ্যে বিনিয়োগ করতে কোনো শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীরা আসতেন না। আর তাঁর সময়ে অর্থাৎ এখন, তিনি অনেকটাই কঠোর হাতে রাজ্যে দুষ্কৃতী দমন বা অপরাধ দমন করছেন তাই এখন রাজ্যে লগ্নি হচ্ছে।
কিন্তু এই নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছেন, তারা প্রশ্ন তুলেছেন যে যদি তাঁর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এত নিয়ন্ত্রণে তবে গৌতম বুদ্ধ নগরে এক বিজেপি কর্মী ও তাঁর দুই সঙ্গীকে কি করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে? এখনও কেন রাজ্যে একের পর এক খুন, ধর্ষণ এবং গোরক্ষকদের তাণ্ডব চলছে রাজ্যে? যদিও তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।