
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে জমে উঠেছে রাজনীতি। এখানে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন বিখ্যাত অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী অন্যদিকে বিজেপি তরফে প্রবল লড়াই দিতে ময়দানে নামানো হয়েছে সদ্য তৃণমূল ত্যাগী, বোলপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকে। মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রার্থী রয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
আর এমত একটা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে মিমি চক্রবর্তীকে দাঁড় করিয়েই সেখানে কি জয় আনতে পারবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। ইতিমধ্যেই এই আসনে জয়লাভ করবার জন্য জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
আর এবারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু মানুষের মন জয় তৎপর হলেন তিনি। মুসলমানদের রোজার দিনে তিনিও এবার সেই সংখ্যালঘু মানুষদের সঙ্গে রোজা রাখবেন বলে জানিয়ে দিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বিরোধীদের দাবি, সংখ্যালঘু মানুষদের ভোট পেতেই মিমির এই কৌশল। কিন্তু শুধুমাত্র সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য রোজা রাখার কথা বলেই কি এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রটিতে জয়ী হতে পারবেন মিমি?
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
বিরোধীদের মতে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘুদের মিথ্যে ভাওতা ও তোষন করে আসছে। আর নেত্রীর দেখানো পথেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীও শুধুমাত্র ভোট রাজনীতির স্বার্থেই সেই সংখ্যালঘু মানুষদের সমর্থন পাওয়ার জন্য রোজা রাখবেন।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর এই মুসলমানদের সাথে রোজা রাখার পেছনে অন্য একটা কারণ রয়েছে। কেননা বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রায়শই অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। আর সেই কারণেই তারা যে সকল ধর্মের সাথেই আছে তা প্রমাণ করে সামনে মুসলমানদের রোজা আসছে, আর তাই সেই রোজাকে হাতিয়ার করেই তা পালন করার কথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাদবপুরের এই হেভিওয়েট সৈনিক।
তবে এইসব করে সংখ্যালঘু ভোটারদের মন জয় করলেও মানুষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকেই সমর্থন করবেন বলে দাবি করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু মিমি চক্রবর্তী সংখ্যালঘু ভোটারদের জন্য রোজা রাখলেও হিন্দুদের জন্য তিনি বা তার দল আদৌ কোন প্রীতি দেখান নি বলে ইতিমধ্যে কানাঘুষো সরব হতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলেরা।
আর সেই দিক থেকে রোজার কথা বলেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক সুরক্ষিত রাখলেও হিন্দু ভোটব্যাংক মিমি চক্রবর্তীর পক্ষে যাবে না বিপক্ষে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে কি হবে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।