
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিক চাকুরী প্রার্থীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটা বিরোধ চলছিলই। টেট পরীক্ষার সমস্ত কার্যবিধি সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও গত 7 বছর ধরে নিয়োগ আটকে, আর এই নিয়ে চলছিল আইনি লড়াই। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে রাজ্যে নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কিছুদিন আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর তাই নিয়েই বেঁধেছে এবার চরম গোল। এবং আবারও মামলার পথে আটকে যেতে চলেছে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগের রাস্তা। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার বেশ কয়েকজন চাকুরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করলেন।
মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, ন্যাশনাল স্কুল অফ টিচার এডুকেশন এর গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেক বছর রাজ্যের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার নিয়ম না মেনেই 2014 সাল থেকে 2020 সাল পর্যন্ত কোন টেট পরীক্ষা নেয়নি। অথচ 2014 সালের যারা টেট পরীক্ষায় পাস করেছিল, তাদের নিয়োগ না করে পুনরায় নিয়োগের জন্য গত 23 শে ডিসেম্বর রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যা নিয়মবহির্ভূত বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
এ প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, 2014 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় যারা সফল হয়েছিলেন, তাঁদের নিয়োগ সম্পন্ন হয় 2015 সালে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে অসফল ঘোষণা করা হয় তাঁদের বি এড ডিগ্রী না থাকার জন্য। পরবর্তীকালে প্রশিক্ষিত হলেও রাজ্য সরকার আর কোনরকম টেট পরীক্ষা নেয়নি। কিন্তু রাজ্যের প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির ফলে একই ব্যক্তি আবার দুবার করে সুযোগ পাচ্ছেন। সবমিলিয়ে ব্যাপারটি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে বলে দাবী মামলা কারীদের।
অন্যদিকে বিরোধী দলের দীর্ঘদিনের দাবী, যেহেতু বিধানসভা নির্বাচন সামনে আসছে, তাই রাজ্য সরকার জনমোহিনী সিদ্ধান্ত স্বরূপ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যথারীতি রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবারেও আইনি জটিলতায় আটকে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত অবশ্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আটকে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশকিছু চাকরিপ্রার্থীর চাকুরী পাবার আশা মনেই রয়ে গেল।