বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। আর এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সমস্ত দোষ উপাচার্যের ঘাড়েই চাপাতে দেখা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বিদ্যাভবন বয়েজ হোস্টেলে ছাত্রদের উপর হামলা হয়। যে ঘটনা নিয়ে তীব্র শোরগোল সৃষ্টি হয় গোটা রাজ্যজুড়ে। আর এই ঘটনায় উপাচার্যকে “নড়বড়ে গার্জেন” বলে অভিহিত করলেন অনুব্রত মণ্ডল।
জানা গেছে, এদিন মহম্মদবাজারে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বিশ্বভারতীর গন্ডগোলের জন্য 100% দায়ী উপাচার্য। বাড়ির অভিভাবক যদি ঠিক না থাকে, নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে এমনটাই হবে। বিশ্বভারতীর বিষয়ে এমনিতে নাক গলাই না। তবে যাদবপুর থেকে কাউকে এনে বামপন্থীরা যদি ভাবে এখানে মস্তানি করব, তাহলে তার তিনগুণ মস্তান কিন্তু বোলপুরে আছে। আমরা চাই, বিশ্বভারতীতে পড়াশুনো হোক। কাজ হোক।”
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
আর এরপরই উপাচার্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তিনি বলেন, “বিশ্বভারতী নিয়ে আমি আগ্রহী ছিলাম না। আজ নাকি শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যকে ফোন করেছিলেন। আমি জানি না, কি ধরনের উপাচার্য তিনি! কখনও বলছেন মেলা হবে না। কখনও বলেছেন দোল হবে না। যা ইচ্ছে, তা করা যাবে না। রাজ্য সরকারকে অপমান করা যাবে না। আমাকে যদি রাজ্য সরকার বা শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করব।”
এদিকে উপাচার্যকে এইভাবে অনুব্রত মণ্ডল আক্রমণ করায় পাল্টা তাকে কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “প্রথম থেকে এই ঘটনার দায় এবিভিপির উপর চাপানোর চেষ্টা হলেও, যারা ধরা পড়েছে, তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা তৃণমূলের লোক। গোটা জেলা তৃণমূল যেভাবে চালায়, সেই উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীতে পূরণ করা যাবে না।” তবে যে যাই বলুন না কেন, অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে বিশ্বভারতীর ঘটনায় উপাচার্যকে কটাক্ষ করলেন, তা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছে একাংশ।