যত দিন যাচ্ছে, ততই বিহারের শাসকদল নীতীশ কুমারের দলে কোন্দল বাড়তে শুরু করেছে। একেই দলের অন্যতম নেতা তথা বিশিষ্ট রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে জেডিইউয়ের। আর এবার দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে দলীয় নেতাকে কড়া বার্তা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার জেডিইউয়ের সাধারণ সম্পাদক পবন কে বর্মা নীতীশ কুমারকে লেখা একটি খোলা চিঠি টুইটারে পোস্ট করেন। আর সেখানেই কিছু বিস্ফোরক জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। এদিন নীতিশ কুমারের উদ্দেশ্যে পবন কে বর্মা লেখেন, “যখন আপনি মহাগঠবন্ধনের অগ্রভাগে ছিলেন, সেসময় প্রকাশ্যেই আরএসএস মুক্ত ভারতের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমার মনে আছে, একান্ত আলাপচারিতায় আপনি স্বীকার করেছিলেন, বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব কিভাবে আপনাকে অপমান করেছিল। এটাই যদি আপনার আসল মত হয়, তবে জেডিইউ কি করে বিহারের বাইরে বিজেপির সঙ্গে জোট করছে! যখন তাদের অকালি দলের মত দীর্ঘদিনের সঙ্গী তা করতে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে!”
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমারের ব্যাপারে তার দলেরই নেতা এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করায় এখন কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে জেডিইউ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিদ্রোহী নেতা পবন কে বর্মাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন নীতিশ কুমার। এদিন পবন কে বর্মার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা না থাকলেও, আমি তাকে সম্মান করি। তিনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে সংযুক্ত জনতা দলকে তার বোঝা উচিত। কয়েকজনের বিবৃতিতে দলকে বিচার করবেন না। সংযুক্ত জনতা দল দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে। আমাদের প্রতিটি বিষয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে।” পাশাপাশি ভেতরকার আলোচনা এভাবে প্রকাশ্যে আনায় পবন কে বর্মার প্রতি যে তিনি অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ, তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন নীতিশ কুমার।
তিনি বলেন, “এটা খুবই অবাক করার মত বিষয় যে, কি আলোচনা করেছিলাম, তা নিয়ে উনি বিবৃতি দিচ্ছেন। তবে আমি কি জানাব, আমরা কি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম!” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেডিইউ যে পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দলীয় কোন্দল যদি তারা অবিলম্বে না থামাতে পারে, তাহলে দল চরম অস্বস্তির মুখে পড়বে।
কেননা সামনেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে যেভাবে পবন কে বর্মা বনাম জেডিইউয়ের নীতীশ কুমারের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল, তাতে বিরোধীরা অনেকটাই অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মত একাংশের। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, দলের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে নীতিশ কুমার কতটা সক্ষম হন! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।