
বড় সাধ করে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে যাতে অর্থ না লাগে, তার জন্য রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের ঠেলায় বিবাহিতা মহিলারাও যে নতুন বউ সাজতে শুরু করবেন, তা কল্পনা করতে পারেননি কেউ।
সূত্রের খবর, এবার রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে মাঝ বয়সী বিবাহিত মহিলারাও নতুন বউ সেজে কার্ড ছাপিয়ে প্রশাসনের দরজায় উপস্থিত হচ্ছেন। আর সেই খবর পেয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। প্রসঙ্গত, চলতি আর্থিক বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেকদিন আগেই বিবাহিত মহিলাদের রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে। আর এরকম সংখ্যা প্রায় 3 হাজার 215 টির মত বলে দাবি করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত আবেদনপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত 716 টি, সূতি 2 ব্লকে 526 টি, বড়ঞায় 137 টি, বেলডাঙ্গা 1 ব্লকৈ 162 টি, বেলডাঙ্গা 2 তে 171 টি ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এছাড়াও বহরমপুর, ভগবানগোলা, ভরতপুর, ডোমকল, হরিহরপাড়া, জলঙ্গি, কান্দি, লালগোলা, নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় এইরকম প্রচুর ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে দাবি করছে প্রশাসন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের রূপশ্রী প্রকল্পে যেখানে নব্য বিবাহিতা মেয়েদের কার্ড দেখিয়ে 25 হাজার টাকার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে সন্তান হয়ে যাওয়া বিবাহিতা মহিলারাও যেভাবে এই 25000 টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করছেন, তা দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলা জুড়ে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
এদিন এই ব্যাপারে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া এক যুবতীর বাবা বলেন, “সরকার দুস্থদের কথা ভেবে এই প্রকল্পের সাহায্য করায় আমি খুব উপকৃত। তবে প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিবাহিতদের আবেদন করা ঠিক নয়।” কিন্তু সরকারের সাধের প্রকল্পে যদি এমনটা হয়, তাহলে তা প্রয়োগ করে লাভ কি!
এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “নিয়ম মেনে কেউ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করলে তিনি সুবিধা পাবেন।” কিন্তু এক্ষেত্রে যেভাবে অনিয়ম তা শুরু হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পের দুর্নীতি রুখতে এখন প্রশাসন কতটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।