রাজনৈতিক দলগুলোর সুবাদে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খুব পরিচিত শব্দ এখন আমাদের কাছে। বরাবরই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। যার ফলে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলগুলি শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করে থাকে। এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির অন্দরমহলে। ইতিমধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। তা সত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। এবারের ঘটনা কোচবিহারে।
বর্তমানে বিজেপির সারা রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদল চলছে। আর এই রদবদলকে কেন্দ্র করেই কুচবিহারের বিজেপির সদর দপ্তর হয়ে উঠল রণক্ষেত্র। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তাতেই চলল দুই গোষ্ঠীর প্রবল মারামারি। অবস্থা আয়ত্তে আনতে পুলিশ বাহিনীকে আসরে নামতে হল। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির তরফে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি পুনরায় করা হয়েছে মালতি রভাকে। আর তারপর থেকেই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
গতকাল পুনর্নির্বাচিত সভাপতির সংবর্ধনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বহরমপুরে একটি পথদুর্ঘটনায় শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি মারা যাওয়ায় সে অনুষ্ঠান বাতিল হয়। এদিন সকালে আবারও এক বর্ষীয়ান নেতা মৃত্যুবরণ করেন। ফলে ঠিক হয় শোকসভা করে কর্মসূচি শেষে মালতি রাভা বেরিয়ে যান। আর তারপরেই বিরোধী গোষ্ঠী বিশাল মিছিল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে এসে হামলা চালায়। গত কয়েক দিন ধরেই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চলছিল তুমুল আলোড়ন।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
যুব মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি শৈলেন্দ্র সাউ নাম না করে মালতি রাভাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর কথা বলেন। যদিও আজকের ঘটনায় শৈলেন্দ্র সাউকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির একাংশের মতে, সম্পূর্ণ ঘটনার পেছনে তাঁর হাত রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতারা অবশ্য এই গন্ডগোলের জন্য দায় তৃণমূলের ওপর চাপাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজনৈতিক দল মাত্রই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত। ক্ষমতার এক বৃহৎ গোষ্ঠীর মধ্যে বহু গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। আর এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে তাই। শুধুমাত্র সাংগঠনিক ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে তাদের এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। সেই কারণে এই মুহূর্তে বিরোধী রাজনৈতিক দলটির সাংগঠনিক শক্তি ফিরিয়ে আনা ভীষণ দরকার। সমস্ত ঘটনার ওপর নজর রেখেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বিজেপি দলের অন্দরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।