
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে যখন বিজেপি পাখির চোখ করেছে, তখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে! যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিপক্ষ টিমের প্রধান মুখ, সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে যদি মুখ ঘোষণা না করা হয়, তাহলে তারা নির্বাচনের সূচনার লড়াইয়েই অনেকটা পিছিয়ে পড়বে বলে দাবি করছেন একাংশ। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে বারেবারে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনে জয়লাভের পর তারা কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা ঠিক করেন। কিন্তু বিজেপি এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না করলেও বেশকিছু মুখ নিয়ে ক্রমশ জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, নানা মুখের কথা জল্পনার পর্যায় রয়েছে। আর এর মাঝেই উঠে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের নাম। কিন্তু স্বপনবাবুকে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে যদি এগোনোর পরিকল্পনা করে, তাহলে তা বিজেপির ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভুল হবে বলেই দাবি করেছিলেন একাংশ। অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন, এই স্বপনবাবু সেভাবে লড়াই আন্দোলনে থাকেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাকে যদি মানুষ না চেনে, তাহলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে লাভের লাভ হবে না বলেই অভিযোগ একাংশের।
আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিন্দুকদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কার্যত জ্বলন্ত সমস্যা সমাধান করতে ময়দানে নামতে দেখা গেল বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদকে। জানা গেছে, শুক্রবার মহম্মদ বাজারের প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকার আদিবাসী গ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। যেখানে আদিবাসীরা না চাইলে ডেউচা-পাচামিতে কয়লা খনি হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। স্বভাবতই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে স্বপনবাবুর এইভাবে ময়দানে নামাকে কিছুটাইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই দেখতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, অতীতে বিশ্বভারতী সমস্যার সময় স্বপন দাশগুপ্তকে বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু মাঝে যখন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তখন কার্যত নীরব ছিলেন এই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকভাবেই তার নাম নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়, তখন অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন, তিনি যদি আন্দোলন না করেন, মানুষের কাছে পরিচিত না হন, তাহলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত হবে না। আর এই পরিস্থিতিতে ডেউচা-পাচামির কয়লা খনি নিয়ে যখন সেখানকার বাসিন্দারা আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে।
এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করে একদিকে যেমন নিজেদের নিন্দুকদের জবাব দিলেন, ঠিক তেমনই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, এদিন এলাকায় গিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত সাধারণ মানুষের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য বারবার সওয়াল করেছেন। আদিবাসীদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে কথা বলা হবে, ততক্ষণ এখানে কোনো কয়লা খনি করার পরিকল্পনা হতে পারে না। আপনারা যদি না বলেন, তাহলে না। আর কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।”
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
অর্থাৎ স্বপনবাবু এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একদিকে যেমন তিনি ময়দানে নেমে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন, ঠিক তেমনই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ঘরে বসে থাকার লোক নন। স্বাভাবিকভাবেই স্বপন দাশগুপ্তের পক্ষ থেকে জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের জন্য এইভাবে ময়দানে নেমে পড়াটাকে গুরুত্বপূর্ণভাবেই দেখতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
একাংশ বলছেন, তাহলে কি বিজেপির আগামীদিনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হতে চলেছেন এই স্বপন দাশগুপ্ত! তাই রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে এবার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয় হতে দেখা গেল তাকে? যদিও বা স্বপন দাশগুপ্ত বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই কথা বললেও, তার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “এই প্রকল্প রূপায়ণে বীরভূম বা রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। কর্মসংস্থান হবে। কারও সমস্যা না করেই প্রকল্প রূপায়ণ করার চেষ্টা চলছে। সকলের উচিত, রাজ্যের স্বার্থে প্রকল্প রূপায়নের সহযোগিতা করা।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।