
তৃণমূল ছেড়ে যখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন বিজেপির সদর দপ্তরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন, বাংলায় তার ক্যাপ্টেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দিলীপ ঘোষের ক্যাপটেনশিপ লড়েও, তৃণমূলের এককালের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যাকে বঙ্গ রাজনীতিতে চাণক্য বলা হয়, তাঁকে তেমনভাবে কোনো পদ দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তা সত্ত্বেও, দাঁতে দাঁত চেপে তৃণমূলকে হটাতে লোকসভায় বিজেপিকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে দিলীপ ঘোষ দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এবার কি ভাগ্য খুলতে চলেছে মুকুল রায়ের!
সূত্রের খবর, সোমবার বিজেপির রাজ্য কমিটিতে কিছুটা রদবদল হবে। যা নিজের হাতে সাজাবেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর বিজেপির সেই রাজ্য কমিটিতেই কোনো পদ পান কিনা দিলীপ ঘোষ, সেদিকে নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের। তবে শুধু মুকুল রায় নয়, ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীতে এবং আগে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়করা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
কিন্তু জনপ্রতিনিধি ছাড়া তারা সেইভাবে বিজেপির আর কোনো পদে নেই। তাই সেদিক থেকে তাদের বিজেপির দিলীপ ঘোষ রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসেন কিনা! সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এতদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একতরফাভাবে দল চালালেও, এবার তাকে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। যা বিজেপির কাছে পাখির চোখ।
সেদিক থেকে তৃণমূলকে দুর্বল করতে পারে যে তৃনমূলের কাছের লোকরাই, তা বুঝতে পেরেছে বঙ্গ বিজেপি। তাই তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা মুকুল রায় সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক যারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাদের রাজ্য কমিটিতে এনে দলকে শক্তিশালী করতে পারেন দীলিপবাবু বলে মনে করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে মোড় নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।