
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল শিবিরের দূরত্ব বেড়ে চলেছে। দূরত্ব মেটানোর জন্য অবশ্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তবে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। দলের বাইরে গিয়েও শুভেন্দু অধিকারীর যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সে কথা প্রমাণ হয় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সংখ্যা দেখলেই। জেলায় জেলায় এই মুহূর্তে শুভেন্দুর অনুগামীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তাতেই প্রমাদ গুনছে তৃণমূল শিবির বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
এবার সেই সূত্রেই শুভেন্দুর অনুগামীর উপর হামলা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। সম্প্রতি সবং এর একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত কোলোন্দা গ্রামের বাসিন্দা যুগল মালাকার। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় রাতে। আসবাব ভাঙার পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে দফায় দফায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ করেন যুগল।
আক্রান্ত ব্যক্তি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এলাকায় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর নেতা অর্থাৎ যারা মানস ভুঁইয়ার অনুগামী, তাঁরাই এই হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতা অতনু সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল কোনমতেই জড়িত নয়। তিনি আরও দাবি করেছেন, যুগল মালাকার আদতে একজন বিজেপি কর্মী। বিজেপির অন্যপক্ষ তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। মানস ভুঁইয়াকে বদনাম করার জন্যই এই অভিযোগ করছে যুগল। অন্যদিকে হামলার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশের আগমন ঘটে।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন – টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে। সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
যুগল মালাকারের বাড়ির আশপাশ থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির দিকে তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তোলায় বিজেপি কিন্তু সেই অভিযোগ আবার নস্যাৎ করেছে। তাঁদের দাবি, এলাকায় দাদার অনুগামীদের সঙ্গে দিদির অনুগামীদের বিবাদের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে একথা সত্যি, তৃণমূল সমর্থকরা বর্তমানে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত। একদিকে দাদার অনুগামী, একদিকে বাকিরা। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর শুভেন্দুর দলবদলের জল্পনা আরও তীব্র হচ্ছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আগামী 7 ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভা করতে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই নিয়ে উত্তেজনা চরমে। যথারীতি তৃণমূল নেত্রীর সভাকে সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছে এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তবে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ শুধু সবংয়েই নয়, উঠেছে খেজুরিতেও। জানা গিয়েছে খেজুরি টু দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে এলাকার বেশ কয়েকজন। যাদের বিজেপি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিহিত করেছে। বিজেপি কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
তবে যেভাবে দাদার অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূলের বাকি সমর্থকদের বিরোধিতা ক্রমশ বাড়ছে, তাতে বাংলার রাজনৈতিক মহল কিন্তু যথেষ্ট চিন্তিত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল শিবিরে ফাটল ধরেছে, তা ক্রমশ চওড়া হওয়ার দিকে। আর এক্ষেত্রে দাদার অনুগামীর উপর তৃণমূল সমর্থকের হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধিতা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।