2011 সালে রাজ্যে বামেদের হটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও কিছু কিছু জেলায় তারা শক্তি কেন্দ্রের পরিবর্তন করতে পারেনি। যেমন, মালদহ জেলা। এই জেলা কংগ্রেসের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। গনি খান প্রয়াত হলেও, তার মুখ দেখেই এখনও সেই জেলায় কংগ্রেসের অনেক নেতাকর্মীরা শক্ত হাতে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বর্তমানে সারা রাজ্যের পাশাপাশি সেই মালদহ জেলাতেও কি কংগ্রেসের সংগঠন ভেঙ্গে পড়তে চলেছে! চাচল 1 ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির দখল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যাওয়ার খবর শোনা যেতেই এই সমস্ত জল্পনাই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল।
বস্তুত, 24 আসন বিশিষ্ট এই চাচল 1 পঞ্চায়েত সমিতিতে বিগত নির্বাচনে কংগ্রেস 13 এবং তৃণমূল 9 টি আসন পেয়েছিল। যার ফলে কংগ্রেস এখানকার বোর্ড দখল করে। কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট থেকে প্রায় পাঁচ জন তৃণমূল কংগ্রেসে চলে আসায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা 14 হয়ে গিয়েছে। ফলে এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করা এখন তৃণমূলের কাছে শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু তৃণমূল এই পঞ্চায়েত সমিতি সংখ্যার জোরে দখল করতে চাইলেও, নিয়ম অনুযায়ী তারা এখনই তা দখল করতে পারবে না বলে মনে করছে একাংশ। কেননা এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে গেলে, সেখানকার বর্তমান সহ-সভাপতি এবং সভাপতির বিরুদ্ধে আগে অনাস্থা আনতে হবে। তাই এখন তৃণমূল সেই অনাস্থার ব্যাপারে কবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলেরই। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই মহকুমা শাসককে এই নিয়ে চিঠি দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাদের দলের সদস্যরা যেভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন এবং এখন যেভাবে তৃণমূল এই পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেবে, তাতে তারা কি পৌরসভা নির্বাচনের আগে এই মালদহ জেলায় ধাক্কা খাবে না!
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “যারা গেছে তাতে আমাদের কোনো কিছু যায় আসে না। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “অন্যান্য দল থেকে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন, এনআরসি, এনপিআর, সিএএর প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করতে পারেন। সেই কারণেই তারা আমাদের দলে যোগদান করছেন।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস প্রভাবিত মালদহ জেলায় যেভাবে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চলেছে, তাতে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট এই জেলায় অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।