কর্নাটকে ইভিএম খুলতেই খুশির হাওয়া ছিল গেরুয়া শিবিরে। কেননা বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীক্ষাকে ওলোট-পালট করে দিয়ে তরতরিয়ে এগোচ্ছিল তাদের বিজয়রথ। একসময় এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা পৌঁছে যায় ১২২-এ, উৎসব শুরু হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু বেলা বাড়তেই বদলাতে থাকে চিত্র, চিন্তার ভাঁজ বাড়তে থাকে গেরুয়া শিবিরে। বিধানসভায় সর্ববৃহৎ একক দল হলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বর্তমানে ৬ টি আসনে পিছনে চলছে তারা। অন্যদিকে কংগ্রেস ও জেডিএস এর মিলিত আসনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
আর এই ফলাফলই শেষপর্যন্ত থাকলে বিজেপিকে আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিতে চলেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে বিজেপিকে আটকাতে ‘ফর্মুলা’ নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন কংগ্রেসের তরফে দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ বলে সূত্রের খবর। সেই ফর্মুলায় সায় মিলেছে সোনিয়া গান্ধীর বলেও জানা যাচ্ছে। কি সেই ফর্মুলা? বিজেপির জয়রথ আটকাতে, এক্ষেত্রে বেশি বিধায়ক সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রীত্ত্বের দাবি জানাবে না কংগ্রেস। উল্টে জেডিএসের কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়ে নিজেদের বিধায়কদের স্বাক্ষরিত সমর্থনপত্র জমা দেবে রাজ্যপালকে। ফলে জমে উঠেছে কর্ণাটকের রাজনীতি। শেষ ফল কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে এখন সবাই।