এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন – আর সেই নির্বাচনে বাংলার ক্ষেত্রে সব আলো যেন কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। আর হবে নাই বা কেন? একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হুঙ্কার ৪২-এ-৪২ চায় – অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের হুঙ্কার বাংলা থেকে অন্তত ২২-২৩ টি আসনে এবার নাকি পদ্ম ফুটছেই। এই অবস্থায় এই দুই যুযুধান শিবির ভুলেই গেছে বাংলায় আরও দুটি রাজনৈতিক দল আছে – কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। এর মধ্যে বিশেষ করে কংগ্রেসের কথা বলতেই হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যায় বাংলায় কংগ্রেসের নাকি সংগঠন বলে কোনো বস্তুই আর অবশিষ্ট নেই। এমনকি এই কংগ্রেসকেই সিপিএমের বি-টীম আখ্যা দিয়ে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, অনেক ভাঙ্গনের মুখ দেখলেও ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দেশজোড়া মোদী-হাওয়া আর বাংলা জোড়া দিদি-হাওয়ার মাঝেও চার-চারটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপর থেকেই কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরিয়ে আরও বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস – ফলে যেন সকলেই বাদের খাতায় ধরে রেখেছিল শতাব্দী প্রাচীন এই দলটিকে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
কিন্তু, বাংলায় যতই সংগঠনের হাল খারাপ হোক – গোটা দেশ জুড়ে এখনও বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষের নাম কংগ্রেসই। বিজেপির কাছে হারতে হারতে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েও – সম্প্রতি গো-বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। আর তারপরেই যেন কংগ্রেসের পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে বাংলাতেও। কেননা দেখা যাচ্ছে, তারপর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এমনকি, সম্প্রতি ধর্মতলার জনসভায় জনসমাগম এবং জেলায় জেলায় আইন অমান্য কর্মসূচিগুলিতেও ভাল সাড়া মিলেছে।
আর তাই বাংলায় কোনো জোট নয় – নিজের ক্ষমতাতেই সবকটি আসনে লড়তে চায় কংগ্রেস। আর এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী – এমনকি লোকসভার আগে বাংলায় ১৫টি জনসভা করবেন কংগ্রেস সভাপতি বলেও জানা গেছে। তৃণমূলের সাথে কোনোমতেই জোট নয় – তবে বামেদের সঙ্গে একটা সমঝোতার রাস্তা খোলা থাকছে। কিন্তু, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রতিটির জন্য ৩ জন করে প্রার্থীর নাম চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকম্যান্ড। তাছাড়া রাহুল গান্ধীর জনসভার সম্ভাব্য স্থান নিয়েও তালিকা পাঠানোর নির্দেশ এসেছে। সবমিলিয়ে ভাঙা সংগঠনেও গতবারের থেকে আসন বাড়িয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু বিধান ভবনে।