
এবার নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী। যে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। সূত্রের খবর, মৃত পুলিশ অফিসারের নাম বিশ্বজিৎ দত্ত বিশ্বাস। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বিভাগে ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। কিন্তু হঠাৎ তিনি এই কাজ করলেন কেন!
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎবাবু তার মায়ের কোয়াটারে ছিলেন। সকালে প্রথমদিকে শাশুড়ির সঙ্গে বৌমার ঝামেলা শুরু হয়। দুপুরে কৃষ্ণনগর থেকে ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরতেই স্ত্রীর সাথে তার চরম অশান্তি শুরু হয়। এরপরই মেয়েকে নিয়ে নিজের কোয়াটারে চলে যান তার স্ত্রী। জানা যায়, এরপরই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে নিজের মাথায় গুলি করেন বিশ্বজিৎ দত্ত বিশ্বাস। এদিকে গুলির শব্দ শুনে বিশ্বজিৎবাবুর মা পাশের ঘরে ছুটে আসতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেই বিশ্বজিৎ দত্ত বিশ্বাস। পরবর্তীতে তাকে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের মতে, বিগত আট বছর আগে জয়শ্রীদেবীকে বিবাহ করেন বিশ্বজিৎ দত্ত বিশ্বাস।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
মাঝেমধ্যেই শাশুড়ির সঙ্গে ঝামেলা বাধলো বিশ্বজিৎবাবু স্ত্রীর। যার কারণে মাকে আলাদা রেখেছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। আর এবার মা এবং স্ত্রীর গন্ডগোলের জেরেই তাকে আত্মঘাতী হতে হল বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রতিবেশী মাধবী নন্দী বলেন, “শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক ভাল ছিল না। তাই মা আলাদা ফ্ল্যাটে থাকতেন। সকালেও ঝামেলা হয়েছে দুজনের। আমরা আচমকা শব্দ শুনি। এসে দেখি গুলিবিদ্ধ বিশ্বজিৎবাবু।”
এদিকে গোটা ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। তবে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী ব্যক্তিগত কারণে, নাকি অন্য কোনো কারণে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে সকলেরই দাবি, শুধুমাত্র পারিবারিক বিবাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন এই পুলিশকর্মী। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় রীতিমত শোরগোল রাজ্যজুড়ে।