ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজেকে জনগণের পাহারাদার বলে দাবি করে এসেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে মানুষের আপদে, বিপদে ছুটে যেতে দেখা গেছে তাকে। আর এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেল নৈহাটির ছাইঘাট এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নৈহাটিতে বাজির মসলা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে 156 টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত 9 জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বারাসাতে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে সেই ঘটনার কথা জানতে পারেন। আর তারপরই দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে নির্দেশ দেন তিনি।
আর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই, সেই দুর্গতদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ায় রীতিমত খুশি এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে সেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা প্রায় 35 হাজার টাকা করে তাদের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এদিন তাদের হাতে চেক তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “আমি আমার জীবদ্দশায় এরকম মানবিক মুখ্যমন্ত্রী দেখিনি। যিনি এত দ্রুত নৈহাটির বাসিন্দাদের হাতে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুক্রবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা চেক পান, সেই বিষয়টা দেখতে। তার নির্দেশেই এই চেক প্রদান করা হল।” সব মিলিয়ে কথা দিয়ে কথা রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই দাবি তৃণমূলের।