
দক্ষিণ দিনাজপুরেরে বালুরঘাট থানা এলাকায় ৬ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হল রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারের অভিযোগে। জানা গেছে ওনাদের পরিবারের কেউ কেউ কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থী হিসাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে আগে জঙ্গলমহলেও নজরে এসেছিলো একই রকমের ঘটনা। সেখানেও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সাসপেন্ড করা হয়েছিলো, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ থাকায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রাজ্যসরকার নড়েচড়ে বসেছে বলে সূত্রের খবর। গতকাল বালুরঘাট ঘটনার জেরে বিজেপি দুঘন্টা ঘেরাও করে রাখে থানা এলাকা। অবরোধের সময় বিজেপি নেতা বাপি সরকার রীতিমত উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, সব কিছু আমরা মনে রাখব। ক্ষমতায় এসে ব্যবস্থা নেব। পাল্টা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, বিজেপি চাইছে অকারণে গন্ডগোল পাকাতে। আমরা চাইছি নিরপেক্ষ থাকতে। প্রশাসনকে বলেছি, কোনো প্ররোচনায় যেন পা না দেয়।
অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় জানান, ওই ছ’জন আমাদেরই সমর্থক। কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করলে, শাস্তি হওয়াই উচিত। প্রবীরবাবুর কথায় সম্মতি জানিয়ে বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। যে ৬ জন রাজনৈতিক দলের প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদেরকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। যদিও বিজেপি জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার আবার জানিয়েছেন যে জেলার বোল্লা এলাকার দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবারের লোক তৃণমূল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। অথচ তাঁরা সরাসরি ভোটের প্রচারকার্যে নিযুক্ত হলেও তাঁদেরকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। তবে আইসি সঞ্জয়বাবু এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, বোল্লা থেকে এরকম কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। বালুরঘাট বা বোল্লার কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারই এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলও জানিয়েছে, কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারই তাঁদের হয়ে কাজ করছেন না। সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল – সবজায়গাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতির অঙ্গন।