
নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বর্ধিত বেতন পেতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, যারা পেনশনভোগী আছেন, তাদের বর্ধিত পেনশনের হিসেবও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্য বাজেটে বেতন পেনশন নিয়ে বরাদ্দ কেমন হবে, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই।
সূত্রের খবর রাজ্য বাজেটে বেতন এবং পেনশন খাতে যা বরাদ্দ হয়েছে, তাতে ইনক্রিমেন্ট ছাড়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর এই ঘটনা এখন নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে কর্মচারী মহলের অন্দরমহলে। সকলের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন, রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করবেন বলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু যে বরাদ্দ হল, তাতে নতুন পে স্লিপে মহার্ঘভাতার কোনো উল্লেখ নেই।
জানা গেছে, 2020-21 রাজ্য বাজেটের প্রস্তাবে বেতন খাতে মাত্র 8 শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে 2018-19 অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে পেনশনভোগীদের জন্য 14% বাড়তি খরচ হলেও, আগামী অর্থবর্ষে 13 শতাংশ বৃদ্ধি বলে ধরা হয়েছে। আর রাজ্য বাজেটে এরকম হতাশাজনক দিক উঠে আসায়, এখন সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
একাংশের প্রশ্ন, তাহলে এত প্রতিশ্রুতি দিয়েও, কি রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেবে না! একাংশ বলছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন তার সুপারিশে জানিয়ে দিয়েছে যে, মহার্ঘভাতা কখনও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। এমনকি কেন্দ্রের মত করে রাজ্যের কর্মচারীদের যে রাজ্য সরকারের মহার্ঘভাতা দিতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যতামূলক দিক নেই। ফলে নবান্ন এখনও পর্যন্ত সেই মহার্ঘভাতার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না করায়, কি দশা হবে সরকারি কর্মচারীদের! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
এদিকে এদিন এই বাজেট পেশের পরে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছি। বাকিটা সুপারিশে বলা হয়েছে। যতটুকু পারছি, দেওয়া হয়েছে। নেতিবাচক চিন্তা করবেন না। রাজ্যের কথা ভাবুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন।” তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহার্ঘভাতার ব্যাপারে তেমন কোনো ঘোষণা না থাকায় শাক দিয়ে মাছ চাপা দিতে চাইলেন বলেই মত একাংশের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মাছ চাপা দিলেও, শাককে কিভাবে ঢাকা দেবেন! কিভাবে সরকারি কর্মচারীদেরকে সামাল দেবেন! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের মনে।