দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হবার পর থেকেই তার প্রবল বিরোধিতা শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই একাধিক সভা-সমিতির মধ্যে দিয়ে এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
পাশাপাশি দলের সমস্ত নেতৃত্বকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি করবার জন্য। সেইমতো লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রভাবিত জেলা হিসেবে পরিচিত কোচবিহারে এবার এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে মিছিল করে বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
বস্তুত, কিছুদিন আগেই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কোচবিহারে বিজেপির মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে মিছিল দেখে কিছুটা হলেও ভীত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার এই আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিলে ব্যাপক জনসমাগম রীতিমতো উজ্জীবিত করছে ঘাসফুল শিবিরকে।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কোচবিহারে এনআরসির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সুব্রত বক্সি। কোচবিহার শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে জেনকিন্স স্কুলের মোড়ে এসে শেষ হয় তৃণমূলের মিছিল। আর তারপরেই এখানে বক্তব্য রাখেন রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, প্রাক্তন সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, উদয়ন গুহ, হিতেন বর্মন, কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষন সিং সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
আর এই মিছিলে তৃণমূল ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করায় রীতিমত উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে তারা। এদিন সুব্রত বক্সি বলেন, “গত 72 বছরের যে কোনো জায়গায় দেশের যে কোনো মানুষ যখন আবেদন করেছেন, সর্বস্তরে এমনকি আইনসভায় যারা নির্বাচনে লড়ছেন, তারা আবেদন পত্রে লিখেছেন, ইন্ডিয়ান। তাহলে আমরা যদি ভারতীয় হই, তবে নতুন করে কেন সার্টিফিকেট, কেন নাগরিকপঞ্জি! এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করছেন। যখনই আপনি ফর্মে সই করবেন নাগরিকত্ব পেতে চাই, তার অর্থই হল আপনি নাগরিক ছিলেন না। নতুন করে আর কোনো পঞ্জীর মধ্যে আমরা নেই। তাই আমরা এর বিরোধিতা করছি।”
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করার পর তারা এখানে নিজেদের উত্থান ঘটাতে শুরু করেছিল। তবে বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী সমর্থনে বিজেপির মিছিল করার পর তৃণমূলও পাল্টা মিছিল করল। যা বিজেপিকে অনেকটাই কোণঠাসা করে দিল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।