লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি আঠারো আসন পেয়ে প্রভূত সাফল্য পেয়েছিল। আর এই বিপুলসংখ্যক আসন বিজেপি পাওয়ার পরেই অনেকেই দাবি করেছিলেন যে, বিজেপির এই সাফল্যের পেছনে সবথেকে বড় কৃতিত্বের ভাগিদার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে একের পর এক বিধানসভা উপনির্বাচনে বাংলায় বিজেপির পরাজয় এবং দলীয় কোন্দলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরবর্তীতে আবার সভাপতি হবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল সকলের মনেই।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই দিলীপ ঘোষকেই পরবর্তী সভাপতি করা হল। সূত্রের খবর, গত 12 জানুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের দূত ভূপেন্দ্র যাদব কলকাতায় ঘুরে গিয়েছেন। আর সেখানেই নতুন বিজেপির সভাপতি হওয়া নিয়ে একটি রিপোর্ট অমিত শাহর কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষকে পরবর্তী সভাপতি করা নিয়ে নানা মহলে নানা দ্বন্দ্ব থাকলেও, শেষ পর্যন্ত সেই দিলীপ ঘোষের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনিই রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
কেননা বিজেপিতে প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই আরএসএসের একটা মতামত গ্রাহ্য হয়। তাই সেদিক থেকে আরএসএসের পছন্দ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাই তাকেই ফের পরবর্তী সভাপতি করল ভারতীয় জনতা পার্টি। 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচন দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে হবে তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। এদিন মনোনয়নপত্র জমা করে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি আগেও সভাপতি হতে চাইনি। জিজ্ঞাসা না করে ঘোষণা করেছিল। এবারও সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা করলাম। আমাদের দলের একটা সংবিধান রয়েছে। অনুগত সৈনিক হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।”
আর দিলীপ ঘোষ এদিন সভাপতি হওয়ার পরেই তার পরবর্তী লক্ষ্য 2021 এর নির্বাচনের সাফল্য পাওয়া এবং বাংলার ক্ষমতা দখল করা, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে দ্বিতীয়বার সভাপতি হয়ে দিলীপ ঘোষ এখন তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।