
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তিনি কংগ্রেসে আছেন এবং আজীবন কংগ্রেসেই থাকবেন, একথা স্পষ্ট করে বলে দিলেও কয়েক মাস আগেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল চেয়ে এবং আরও ২২জন সিনিয়র নেতা দলকে চিঠি দিতে দেখা গিয়েছিল কপিল সিব্বলকে। কিন্তু দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। সেইসঙ্গে দলেরই একাংশের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের লজ্জাজনক হারের কথা বলতে গিয়ে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল মানুষ কংগ্রেসকে আর বিকল্প হিসেবেও ভাবছে না। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস বিহার নির্বাচনের আগেই দেওয়াল লিখন পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই কারণেই বিহারে কংগ্রেস নয়, নীতীশ সরকারের বিকল্প হিসেবে মানুষ আরজেডি-কেই বেছেছিলেন বলে মনে করেছিলেন তিনি।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
তবে এবার তাঁর কথাকে অনুসরণ করেই অভিযোগ জানাতে দেখা গেছে চিদম্বরমকে। দৈনিক ভাস্কর-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলতে শোনা গেছে, রাজনীতির ময়দানে কংগ্রেস হয় সাংগঠনিক ভিত্তি হারিয়েছে, নয় ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি।
সেইসঙ্গে অতিমারী সঙ্কট এবং অর্থনৈতিক মন্দার দিনেও মানুষ কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারছে না ভেবেও দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “বিহারে মহাজোটের জেতার অনেক সম্ভাবনা ছিল। কেন হারলাম, তা নিয়ে দলের অন্দরে তদন্ত প্রয়োজন। ভুলে গেলে চলবে না, কয়েকদিন আগেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড জিতেছিল কংগ্রেস।” সেইসঙ্গে একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে সংগঠনে জোর দিলে যে জেতা যায় সেটাই বিহারে সিপিআইএমএল এবং মিমের মতো ছোটদলগুলি প্রমাণ করে দিয়েছে বলেই জানান তিনি।
তাঁর মতে, বিহারে কংগ্রেস অনেক বেশি আসনে লড়েছে। ২৫টা এরকম আসন যেখানে গত বিশ বছর ধরে বিজেপি কিংবা তাদের শরিকেরা জিতে আসছে। ওই আসনে কংগ্রেসের লড়াই উচিত হয়নি বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর মতে কংগ্রেসের ৪৫টি আসনে লড়াই যথেষ্ট ছিল। অন্যদিকে আসন্ন তামিলনাড়ু, কেরল, পুডুচেরি, বাংলা এবং অসমের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ জবাব, সভাপতি কে হবেন, তা বৈঠকে ঠিক হবে। তবে যে কেউ ভোটে লড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি।