সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। বিজেপির কাছে এই পৌরসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাফল্য পেতেই হবে। কিন্তু সাফল্য পেতে হলে ভালো প্রার্থী দিতেই হবে বিজেপিকে। ইতিমধ্যেই এক একটি ওয়ার্ড থেকে একাধিক ব্যাক্তি প্রার্থী হতে চেয়ে সওয়াল করেছে। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে তারা।
সূত্রের খবর, মালদহের ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদা পৌরসভায় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এবার বিজেপি সেন্ট্রাল সিলেকশন কমিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই বুথস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বিজেপি উঠেপড়ে লেগেছে। মালদহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় নগর মন্ডল কমিটিও তৈরি করেছে তারা। কিন্তু বিজেপির তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য প্রকাশ পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই সেন্ট্রাল সিলেকশন টিমকে ব্যবহার করে বিজেপি তাদের প্রার্থী ঠিক করবে বলে মনে করছে একাংশ।
মূলত, এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে সমাজের বিশিষ্ট মানুষ এবং স্বচ্ছ ব্যক্তিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই পুরাতন মালদা এবং ইংলিশবাজারে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠনের ব্যাপারে একটি প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর রাজ্যের তরফে সবুজ সংকেত পেলেই মালদহ জেলায় সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির মাধ্যমে বিজেপি তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করবে বলে খবর।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
এদিনই প্রসঙ্গে বিজেপির পুরাতন মালদহ নগর মণ্ডল কমিটির সভাপতি সুজিত দাস বলেন, “পৌরসভা ভোটের জন্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। আমরা বুথে বুথে কাজ করছি। এখানে নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। সেই তালিকা আমরা অনুমোদনের জন্য জেলায় পাঠাব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে মালদহ জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, “দুই শহরে নির্বাচনের জন্য এখনও প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়নি। বর্তমানে আমাদের সংগঠন গোছানোর কাজ চলছে। তার পরে প্রার্থী নিয়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে। সেখানে যে নাম উঠে আসবে, তা থেকে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি প্রার্থী ঠিক করবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতি তুলে ধরে বিজেপির পক্ষে লড়াই করে সাফল্য পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু বিজেপির অন্দরে যদি প্রার্থী নিয়ে দলের পুরোনো এবং নতুন নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়, তাহলে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বিজেপিকে চাপে রাখতে পারে। তাই সেদিক থেকে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি নাম একটি কমিটি গঠন করে দলকে শৃঙ্খলা বেঁধে প্রার্থী নিয়ে যাতে বনিবনা নষ্ট না হয়, তার জন্য গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ বলে মত একাংশের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।