
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় সংগঠন সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে দলের অন্দরে ক্ষমতার পরিবর্তন আনলো গেরুয়া শিবির। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় পাঁচজন মণ্ডল সভাপতি পদাধীকারীর বদল হলো। দলীয় সূত্রে মনে করা হচ্ছে এই পরিবর্তন আগামী দিনে দলের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
——————————————————————————————-
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
এমন কথা বলেছেন খোদ বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অহীন্দ্রনাথ বসু। দলের গোপণ সূত্রের খবর অনুসারে বিজেপি দলের কর্মীদের অনেকেই মোটেও এই বিষয়টি সমর্থন করছেন না। উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সাংঠনিক জেলায় মোট ২১ জন মণ্ডল সভাপতি রয়েছেন।
যার মধ্যে উত্তর ব্যারাকপুর, গারুলিয়া, নোয়াপাড়া, ভাটপাড়া ও জগদ্দল অঞ্চলে পাঁচ মণ্ডল সভাপতিকে বদল করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে অঞ্চলগুলির পুরোনো সভাপতিদের জেলার বর্ধিত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অহীন্দ্রনাথ বাবু বললেন, “যা করা হয় সবই সাংগঠনিক সুবিধার জন্যই করা হয়।” এদিকে প্রকাশ্যে দলের কোনো কর্মী ও সমর্থক বিবৃতি না দিলেও অনেকেই বলছেন অহীন্দ্রনাথ বসু ক্ষমতার অপব্যহার করছেন। এমনকী, নিজের ইচ্ছে মতো মণ্ডল সভাপতিদের বেছে নিয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায় তারপর থেকেই মুকুল অনুগামীদের ধারণা ছিল তিনি বড়সড় কোন পদ পেতে চলেছেন বিজেপিতে কিন্তু এতদিন হয়ে যাওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত তিনি কোন পদ পাননি। ফলে এই নিয়ে হতাশা ছড়িয়েছে মুকুল অনুগামীদের মধ্যেও।বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় যে হতাশা এমন জায়গায় ছড়িয়েছে যে এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার কথাও বলেছেন। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এসেছিলেন অনেকের ধারণা এই কথা তার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে মুকুল গড়ে এই সাংগঠনিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই কি মুকুল রায়কে ক্ষমতা দেওয়া শুরু হলো?