
কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছে ২০১৯ এ আর তারা বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকছে না। তারপরে বিজেপির আরেক বড় শরিক টিডিপি কার্যত হুমকি দিয়ে রেখেছে জোট ছাড়ার, সূত্রের খবর টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু যে কোনো দিন জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে পারে। আর এবার নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কপালের ভাঁজ বৃদ্ধি করে আরেক বড় শরিক জম্মু-কাশ্মীরের মেহেবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিডিপিএর সাথে রীতিমত লেগে গেল বিজেপির। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নাগরিক হত্যা এবং সেনার বিরুদ্ধে এফআইআর ঘিরে জম্মু-কাশ্মীরে সম্মুখ সমরে বিজেপি এবং পিডিপি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার শোপিয়ানে গনভপারা গ্রামের ভিতর দিয়ে কনভয় যাওয়ার সময় সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায় এবং সেই গুলিতে মৃত্যু হয় দুই যুবকের। এই ঘটনার পর নজিরবিহীনভাবে সেনার গাড়োয়াল ইউনিট এবং তার দশ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। যেহেতু জম্মু-কাশ্মীরে আফস্পা প্রচলিত, তাই সেনার বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন, সেনাও কড়া বিবৃতি দিয়েছে। আর এই ব্যাপারে সবচেয়ে সোচ্চার বিজেপি, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা রীতিমত চেপে ধরেন মেহবুবা মুফতিকে, কিন্তু তিনি কোনোমতেই নতিস্বীকার করতে রাজি নন। তিনি স্পষ্ট জানান, হত্যার খবর সামনে আসার পরে আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি, তিনি ইতিবাচক ছিলেন। যদি কোনও ভুল বা দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনা ঘটে তবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি, এরপরেই আমরা এফআইআর দায়ের করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু করি। ফলে, সব মিলিয়ে বিজেপি ও পিডিপিএর মধ্যে দূরত্ত্ব এখন জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম চর্চার বিষয়।