
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২৩ সে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর প্রমুখেরা। কিন্তু এই অনুষ্ঠান স্থলেই এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে যখন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানান অনুষ্ঠানের সঞ্চালক দল। সেসময় অকস্মাৎ দর্শক আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাপানউতোর সৃষ্টি হয় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, সরকারি অনুষ্ঠানে ডিগনিটি থাকা প্রয়োজন ছিল। এটি কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিলনা। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। কিন্তু কাউকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে, তারপর তাঁকে অপমান করা উচিত নয়, বলে জানালেন তিনি। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি কোনো বক্তব্য না রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পোডিয়াম থেকে নেমে যান তিনি।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে একাধিক রাজনীতিবিদ তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে শুরু করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্লাকার্ড হাতে পথে নামেন কবীর সুমন। বহু বিরোধী শিবির এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ান। তবে, বিজেপি এই ঘটনায় কটাক্ষ করে তৃণমূলকে। আজ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্য রাখলেন হুগলির পুরশুড়ার জনসভা থেকে। আজ হুগলির পুড়শুড়া জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনের জয় শ্রীরাম স্লোগান প্রসঙ্গে জানালেন যে, কয়েকজন ধর্মান্ধ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাঁকে টিজ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করলেন যে, নেতাজীকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে নেতাজিকেই অপমান করা হয়েছে। তিনি জানালেন, বিজেপি নির্বাচনে জয়লাভ করতে টাকাপয়সা ছড়াচ্ছে। এরপর জনতার উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, বিজেপি যদি টাকা দেয়, তবে সে টাকা নিয়ে মাংস ভাত খেতে। কিন্তু ভোটের সময় তাদের ভোট না দিতে। তিনি অভিযোগ করলেন, বিজেপি বর্ধমানে নিজেদের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়েছে, ব্যারাকপুর গন্ডগোল পাকাবার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানালেন যে, বাইরের গুন্ডাদের কিছুতেই ঢুকতে দেবেন না তাঁরা।