
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার দুদিনের অধিবেশন। যেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা কৃষক বিরোধী আইনের প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে খবর। আর এই কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সময় এদিন রীতিমত উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্য বিধানসভায়। মূলত প্রথম থেকেই এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে।
আর এবার বিধানসভায় এই আইন বিরোধী প্রস্তাব পেশ করার সময় রীতিমত কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জন্য বিজেপি সরকার দায়ী্ আমাদের মধ্যে আদর্শগত বিভেদ থাকতে পারে। কৃষকরা লালকেল্লা দখল করতে গিয়েছিলেন, তা আমি বিশ্বাস করি না। কৃষকরা খলিস্তানি নয়। কৃষক বিলগুলো জোর করে পাশ করানো হয়েছে। তিনটে বিলই প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের সব কর মুকুব করতে হবে।”
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আর এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “হয় আইন প্রত্যাহার করো, না হলে সরকার গদি ছাড়ো।” স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ দাবি করলেন, তাতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুদিনের জন্য অধিবেশন শুরু হলে যেভাবে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
এমনিতেই কৃষকদের বিক্ষোভ বর্তমানে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। আর তার মাঝেই পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের এই ধরনের মন্তব্য রাজ্যের গেরুয়া শিবির এবং কেন্দ্রীয় শাসকদলকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেহাদ ঘোষণা বিজেপিকে কতটা চাপে ফেলে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।