
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বিষয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারী করা হলো। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছে। এরসাথেই কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা আইনটিকে খতিয়ে দেখবে ও আইন বিষয়ে সকলের মতামত শুনবে। সুপ্রিমকোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কৃষি আইন কার্যকর করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হলো।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দিল্লির সীমানায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা যে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনের এবার সমাপ্তি করতেই একটি কমিটি গঠন করা হবে। যে কমিটিতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কৃষকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লি সীমানায় এভাবে ধরনা দিতে পারবেন না।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
কৃষকদের বক্তব্য শুনতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিতে তাদের আসতে হবে। এখানে এলে কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না। এই কমিটি সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতে তার রিপোর্ট জমা করবে। তবে, কৃষকদের আইনজীবী এমএল শর্মা জানিয়েছেন যে, কৃষকেরা আদালতের কোন কমিটিতে যাবে না। তিনি অভিযোগ করেছেন কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন অনেকেই, কিন্তু আসেননি প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর এই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানিয়েছেন কৃষকেরা যদি এই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে না চান, তাহলে তারা আসবেন না। কিন্তু সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নয়া তিন কৃষি আইন অগণতান্ত্রিক, সংবিধান বিরোধী, এই আইনের ফলে দেশের কৃষি ব্যবস্থা পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে।
যার জবাবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অধিকাংশ কৃষকের এই আইনের ফলে কোন সমস্যা নেই। এই আইন সংবিধান সম্মত ও সংসদের সমস্ত নিয়ম মেনেই এই আইন করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই আইন প্রণয়নে বিলম্ব করা হয়েছিল, এখন কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।