
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শিশির অধিকারীর পর, এবার অপসারিত করা হলো অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুজনে পুরপ্রশাসককে। প্রসঙ্গত আজ সকালে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীকে। চেয়ারম্যান পদে এসেছেন অখিল গিরি। যিনি দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।
শিশির অধিকারীকে অপসারণের পর এবার অপসারণ করা হলো এগরা পুরসভার পুর প্রশাসক শঙ্কর বেরাকে। তাঁকে অপসারিত করে নতুন পুর প্রশাসক করা হয়েছে স্বপন নায়েককে। অন্যদিকে, তমলুক পুরসভার পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেনকে অপসারিত করে, তাঁর স্থলে আনা হয়েছে দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে। এভাবে একাধারে শিশির অধিকারী ও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুজন পুর প্রশাসককে অপসারিত করায় তা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়ালো রাজ্য রাজনীতিতে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
ইতিপূর্বে, কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করা হয়েছিল। একাধিক বিশ্লেষক মনে করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর উপর আক্রোশ থেকেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে শাসকদল তৃণমূল। তবে, এগরা ও তমলুক পুরসভার পুর প্রশাসকদের কেন অপসারিত করা হলো? এ বিষয়ে এখনও সংবাদমাধ্যমে কোন বক্তব্য রাখে নি শাসকদল তৃণমূল।
অন্যদিকে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে শিশির অধিকারীর অপসারণ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানালেন যে, দলের ধ্বংস শুরু হয়েছে, ধ্বংসের কাজ এগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তগুলি। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন যে, দীর্ঘদিন ধরে কোন পদে থাকলে, সে পদে রদবদল হয়েই থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বহুবার তাঁর দপ্তর বদল করা হয়েছে। কিন্তু তাতে তিনি কখনও অপমানিত বোধ করেননি।