
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই তৎপরতা আরও বেশি করে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। এবারের লড়াই যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই হতে চলেছে, তা সকলেরই জানা। তবে নির্বাচনে লড়ার আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের ইশতেহারে কি প্রতিশ্রুতি দেয়, তার দিকে নজর থাকে সকলের।
সেই মত করে তৃণমূল এবং বিজেপি তাদের ইশতেহারের মধ্যে দিয়ে কি চমক দিতে চলেছে, তার জন্য কৌতুহলী সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে খসড়া ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেল। যে ইস্তেহারের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ ব্যাপার সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বলা বাহুল্য, বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কেও অবহিত নয়। সেক্ষেত্রে ইশতেহারে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। এছাড়াও রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষা, প্রাইমারি নিয়োগ এবং প্যারা টিচারদের সমস্যার সমাধানের বিষয়গুলো বিজেপির ইশতেহার থাকতে পারে বলে খবর।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন, বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি নিজেদের ইশতেহারে দিতে পারে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, রাজ্যে শিল্প নেই বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব সময় সরব হয় গেরুয়া শিবির। সেদিক থেকে শিল্প তৈরিতে জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ সহ উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ছয়টি শিল্পপার্ক গড়ার প্রতিশ্রুতি নিজেদের ইশতেহারে তুলে ধরতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
তবে এক্ষেত্রে সিএএ নিয়ে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান নিতে পারে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। বারবার এই সিএএ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে ইশতেহারে তা চালু করা হবে বলে জানানো হতে পারে। এছাড়াও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে নানা সময়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেদিক থেকে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হবে বলেও নিজেদের ইস্তেহারে তুলে ধরতে পারে গেরুয়া শিবির।
তবে এত কিছু বিষয় বিজেপির ইশতেহারের থাকার ব্যাপারে খবর পাওয়া গেলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। সবটাই আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে তৃনমূলকে কুপোকাত করতে বিজেপি ইস্তেহারে যে বড় চমক দিতে চলেছে এবং তা যে জনতার মনের মত করতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কেমন হয় বিজেপির ইশতেহার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।