
একসময় শাসকদল তথা মুখ্যমন্ত্রীর সব থেকে কাছের লোক হিসাবে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের হঠাৎ বদলির ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল নানান গুঞ্জন।আর তারপরেই ভারতীর ইস্তফার চিঠি।সব মিলিয়ে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়াশা এখনো তুলছে বিভিন্ন প্রশ্ন।কিন্তু সেই সকল প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য কোনও সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেননি ভারতী ঘোষ।এমনকি রাজনৈতিক ছায়া থেকে নিজেকে রেখেছেন অনেক দূরে।
এরই মাঝে সোমবার সাংবাদিকদের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভারতীর ‘সময় মতো মুখ খোলার’ বার্তা জানায়।এই গ্রূপে মেসেজ করে তিনি জঙ্গলমহলের তার ঘনিষ্ঠ দুই অফিসারের বদলির বিষয়েও মুখ খোলেন।
এদিন তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজে লেখেন,‘‘আমি জানাতে বাধ্য হলাম যে আজকে দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর অঞ্চলের এক তৃণমূল নেতাকে ফোন করে নির্দেশ দেন যাতে আমাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়…এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার…এই সেই নেতা যিনি সবং নির্বাচনের আগে ও পরে আমার সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বাজারে ছড়িয়েছিলেন…এখন একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনলাম…আমি এটুকু আপনাদের জানাচ্ছি, যে যা কেসই হোক না কেন, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হিসেবে আমি কোর্টের কাছে সিবিআই তদন্ত চাইব আর যারা এই ধরনের মিথ্যা কেস করবে, তারা জেল খাটবে।’’
তার এই মেসেজে উঠে আসছে নানান প্রশ্ন।ওই দুই তৃণমূল নেতারা কারা এবং কি ভাবে ভারতী ঘোষ তাদের কথোপকথনটি জানতে পারলেন?উল্টোদিকে মেসেজের মাধ্যমে নাম না করেই তৃণমূলের দুই নেতাকে হুমকি দেওয়াই এবং তাদের ছেড়ে কথা না বলার সতর্কতা দেওয়ায় পরোক্ষভাবে তিনি তার সোর্সকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বুঝিয়েছেন এখনও তার ভার অনেকটাই।