
বাংলায় লকডাউনের চতুর্থ দফার শেষের পর্যায়ে পৌঁছেও করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। এরইমধ্যে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১লা জুন থেকে অনেক ক্ষেত্রেই লকডাউনের শিথিলতা ঘোষিত হয়েছে। ১লা জুন থেকে রাজ্যের ধর্মীয় স্থান যেমন মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বয়ার ইত্যাদি খোলা হবে। ৮ ই জুন থেকে ৪০% যাত্রী নিয়ে ভেসেল পরিষেবা চালু হবে। খুলে দেয়া হবে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস।
এমনকি হোটেল,রেস্তোরাঁ,বিউটি পার্লার, মল, দোকান বাজার প্রায় সবকিছুই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এমন নির্দেশ ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। জানা গেছে এ দিন তিনি বলেছেন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা বিশ্ব যখন লকডাউনের পন্থা বেছে নিয়েছিল তখন সুইডেন এবং তাইওয়ান লকডাউন আরোপ করেনি দেশের ক্ষেত্রে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
জানা গেছে দীর্ঘ কয়েক মাস ভারতে লকডাউন চলার কারণে চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষের পর্যায়ে এসে রাজ্যবাসী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছে। কাজের সন্ধানে বেরোতে হচ্ছে বলে দাবি জনসাধারণের। সেক্ষেত্রে রাজ্যের লকডাউন তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সুইডেন ও তাইওয়ানের পদ্ধতি অনুকরণ করবেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ দল।
জানা গেছে সুইডেন ও তাইওয়ানে লকডাউন জারি না করে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি এবং রাপিড টেস্ট এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগী হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার এদিন জানিয়েছেন বাংলা হয়তো এবার এই পন্থাই অনুকরণ করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছে।
তবে চিকিৎসকের মতে জানা গেছে বাংলায় রাপিড টেস্ট করা হলেও সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং রাপিড টেস্ট সঠিকভাবে করে আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে।বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হলে মানুষের শরীর নিজে থেকেই করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। কার্যত সুইডেন ও তাইওয়ানের আবিষ্কৃত এই মডেল অনুকরণের মাধ্যমে বাংলায় করোনা সংক্রমণ কতটা প্রতিহত করা যায় সে বিষয়ে নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।