
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা জোটবদ্ধভাবে লড়াই করলেও, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা সম্ভব হয়নি। যেখানে স্থানীয় স্তরে বেশকিছু আসন নিয়ে আপত্তি থাকার কারণে বামেদের সঙ্গে জোট করতে পারেনি কংগ্রেস। তবে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যদি তারা জোটবদ্ধভাবে লড়াই করতে না পারে, তাহলে দুই দলের পক্ষে যে তা যথেষ্ট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই জোটের আলোচনার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে।
তবে স্থানীয় স্তরে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তার জন্য কি এবার নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড! সূত্রের খবর, আগামী 15 জানুয়ারি কলকাতায় আসতে চলেছেন এআইসিসির তিন নেতা বিকে হরিপ্রসাদ, আলমগির আলম এবং বিজয় ইন্দর সিংলাকে এর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা জোট সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দিল্লিতে এই ব্যাপারে তাদের রিপোর্ট পাঠাবেন।
আর কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড থেকে তিন নেতা জোটের ব্যাপারে আলোচনা করতে রাজ্যে আসায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী চাইছেন না যে, এবার স্থানীয় স্তরে গোটা ব্যাপারটি ছেড়ে দিতে! সেই কারণেই জোটের ব্যাপারটি পাকাপাকি করতেই কি ওপরতলার নেতাদের এখন রাজ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হল!
প্রসঙ্গত, জোট আলোচনার জন্যই এআইসিসির কমিটি ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই আসন রফার ব্যাপারে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে দুটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। স্বাভাবিক ভাবেই এখনও আসুন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি জানতে দিল্লি থেকে তলব করা হয়েছিল প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আব্দুল মান্নানকে। আর তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই আইসিসির পক্ষ থেকে তিন নেতাকে এই বিষয়ে সমাধানের জন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি একাংশের।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
এদিন এই প্রসঙ্গে এআইসিসি নেতা বি কে হরিপ্রসাদ বলেন, “দলীয় নির্দেশ পেয়ে 15 তারিখ কলকাতায় যাচ্ছি। সেখানে ভোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে কথা বলব। এছাড়াও পর্যবেক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এখনই সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাব না। যথা সময়ে আমরা সবকিছু জানিয়ে দেব।” বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনভাবেই যাতে জোট রাজনীতি ভেস্তে না যায়, তার জন্য তৎপর বাম এবং কংগ্রেস দুই শিবির।
আর সেই কারণেই এবার প্রদেশ নেতৃত্বের বদলে কেন্দ্রীয় স্তরের তিন নেতাকে দায়িত্ব দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এক্ষেত্রে স্থানীয় জোট রাজনীতির ব্যাপারে যত জটিলতা আছে, তা সমাধানের জন্য এই তিন নেতাকে প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই এআইসিসির তিন নেতা রাজ্যে এসে জোট রাজনীতির সমীকরণের ব্যাপারে আলোচনা করলেও, শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।