গত কয়েকদিন ধরে বিধানসভা অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা। গতকাল অর্থাৎ বুধবার তার অন্যথা হলো না। বুধবার বিধানসভায় বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদের এই বয়কটকে একহাত নেন মমতা। এই নিয়ে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞাতার কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান যে তৃণমূল কোনো দিন অধিবেশন বয়কট করেন নি। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মান্নান বাবু জানান যে তৃণমূল ২০০৬ সালে বিধানসভা ভাংচুর করেছিল যদি এখন তৃণমূল প্রমান করতে পারেন যে তারা একাজ করেনি তবে তিনি পদত্যাগ করবেন।অন্যথায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর এইসব নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বেজায় চটেছেন কংগ্রেসের উপর। কেননা নোটবন্দির সময় মোদির বিরোধিতা করে সব দল এক হয়ে গিয়েছিলো।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আর সেই সময়েই সখ্যতা বেড়েছে সোনিয়া গান্ধীর সাথে। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ঠই সম্মান জানান। কিন্তু কেন্দ্রের সাথে এত ভালো সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধী ভাবমূর্তি মোটেই পছন্দ নয় তৃণমূল নেত্রীর আর তাই তিনি এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে ‘‘সংসদে তৃণমূলকে ছাড়়া চলে? দিল্লিতে তোমাদের সহযোগিতা করব। আর এখানে তোমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করবে, তা হয় না! এ বার জবাব দিয়ে দেব!’’
অন্যদিকে মান্নান সাহেব জানান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস কখনওই তৃণমূলের মুখাপেক্ষী নয়। উনি ২০১২ সালে ইউপিএ-২ ছেড়ে চলে আসার পরেও সরকার পড়ে যায়নি। আর আমরা কোনও দিন বিজেপি-র হাত ধরিনি। তৃণমূলের আঁতুড় ঘরেই বিজেপি ছিল!’’