একমাসে এক কোটি টাকার বেশি খাজনা আদায় করে নতুন রেকর্ড তৈরী করলো ঘাটালে নতুন এআরটিও অফিস।চালু হবার মাত্র কিছু মাসের মধ্যে তাদের এই সাফল্যে আনন্দিত বিভিন্ন মহল।
আগে ঘাটাল মহকুমায় পরিবহণ দপ্তরের কোনও অফিস ছিল না।২০১৪ সালে পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালে এআরটিও অফিস খোলার নির্দেশে দিলে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঘাটালে পরিবহণ দপ্তরের অফিসটি খোলা হয়।কিন্তু স্থায়ীভাবে এআরটিও পোস্টিং না হওয়ায় এবং কিছু প্রশাসনিক জটিলতার জন্য ২০১৬ সালে পুজোর পর থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কাজই শুধুমাত্র শুরু হয় সেখানে। এই বছর ১১ আগস্ট স্থায়ী এআরটিও পোস্টিং করা হয়।যারফলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ঠিকানা পরিবর্তন সহ বেশ কিছু কাজ করবার জন্য বাসিন্দাদের বা শোরুম মালিকদের ৭০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুরে যেতে হচ্ছেনা।বাইক বিক্রেতাদের দাবি নতুন অফিসে রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পর থেকে ঘাটালে বাইক বিক্রির হার অনেকাংশ বেড়েছে। ঘাটালে এআরটিও অফিস পূর্ণাঙ্গ অফিসের মর্যাদা পাওয়ায় এখান থেকেই ওভারলোডেড গাড়িগুলির ওপর নজরদারি ও জরিমানা করা সম্ভব হচ্ছে।তাই সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে যেখানে ১৭ লক্ষ ও ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছিল সেখানে নভেম্বরে বেড়ে দাড়ায় ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা।ঘাটাল মহকুমার অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সঞ্জীবকুমার পাইক বলেন,নভেম্বর মাসে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার রাজস্ব তুলে বেশ খুশি।ঘাটালের আরো রাজস্ব তোলার সম্ভবনা আছে। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তারা।

আপনার মতামত জানান -