
দার্জিলিং নিহত পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের ইচ্ছা ছিল ভাই অরুনাভ ‘ডিএসপি’ হোক। আবার তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অরুনাভের যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল বায়ুসেনার কাজে। কিন্তু অমিতাভের অকালমৃত্যুতে সবকিছুই যেন ওলট পালট হয়ে যায়। অমিতাভের মৃত্যুর পর তাঁর বাবা সৌমেনকে চাকরি প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সৌমেনবাবু নিজে আবেদন করেন, তাঁর ছোট ছেলেকে কাজ দেওয়া হোক শিক্ষা দফতরে। কিন্তু আগামী বছরের অগস্টে অরুনাভ এর বয়স ১৮ হবে। তখন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সে স্থায়ী চাকরিতে যোগদান করতে পারবে।
তাই এখন আপাতত অস্থায়ীভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জেলা শিক্ষাভবনে কাজে যোগ দিয়েছেন মধ্যমগ্রামের পাটুলির শরত্কাননের বাসিন্দা অরুণাভ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অমিতাভবাবুর স্ত্রী বিউটিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে করণিক হিসাবে কাজ শুরু করেন। বারাসতের ন’পাড়ায় বাপেরবাড়িতে মাসখানেক থাকার পর সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন বিউটিদেবী, তিনি বলেছেন, ”আমি এখন শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ি দু’জায়গা মিলিয়ে থাকব।”