অবশেষে কলকাতায় বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভার অনুমতি দিল রাজ্য পুলিশ। বস্তুত, রাজ্যে এই সময়ে নানা পরীক্ষা চলছে। তাই সেদিক থেকে এই পরীক্ষার মরসুমের কারণ দেখিয়ে বিজেপির এই সভায় অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে টালবাহানা করছিল কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে আদৌ অমিত শাহ সভা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে যুক্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, শহীদ মিনার যেহেতু কোনো বসতি এলাকা নয়, সেহেতু সেখানে মাইক বাজিয়ে সভা করলে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।
এদিকে সভার দিন এগিয়ে আসা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনরূপ অনুমতি না দেওয়ায় কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি পরবর্তীতে রাজ্য বিজেপির তরফ লালবাজারে আরো একটি চিঠি দিয়ে দ্রুত যাতে এই সভার অনুমতি দেয়া হয় তার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। এমনকি পুলিশ যাতে পরীক্ষার কথা তুলে ধরে তাদের সভাকে বানচাল করতে না পারে, তার জন্য অতীতে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও পরীক্ষার সময় রাজ্যে সভা করেছিল। আর সেই কথাও তুলে ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বরা। আর বিজেপির এতসব অকাট্য যুক্তির পরে অবশেষে সেই অমিত শাহের সভায় অনুমতি দিতে বাধ্য হল রাজ্য পুলিশ।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
তবে অমিত শাহ কলকাতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে সওয়াল করে সভা করলেও, তার পাল্টা আগামী 2 মার্চ নেতাজি ইন্ডোরে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে একজন এনআরসির পক্ষে এবং আরেকজন এনআরসির বিপক্ষে বক্তব্য রেখে পৌরভোটে এনআরসিকেই সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেবে এই দুই রাজনৈতিক দল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, রাজ্যে এসে কি বলেন অমিত শাহ এবং তার কিছুদিন পরে দলীয় সভা থেকে তার কি জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।