সম্মেলন ঘিরে আবার জল্পনা শুরু হল। এক দিনে দুটি সম্মেলন তাও একে অপরের সম্মেলনে যোগ দিলেন না। এমই ঘটনা ঘটল রবিবার শান্তিপুর ব্লক তৃনমুলের সম্মেলনে। একদিকে বিধায়ক শঙ্কর সিংহ ও শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য গোবিন্দপুরে সভা করলেন অপর দিকে পুরপ্রধান অজয় দে পাশেই করলেন আলাদা সভায়।
এইনিয়ে যথেষ্ট বিরোক্ত কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের বক্তব্য যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেখানে নির্দেশ দিয়েছেন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামাতথ সেখানে তাঁর বিরুদ্ধাচরন নির্দেশ না মানারই সামিল।
গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসন নিরব।
সম্মেলন নিয়ে কর্মীরা তিতিবিরোক্ত। তাঁরা বলেন, ” ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে নেতারা শুধরে যাবেন তা না অন্দরের কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে।”
এদিন গোবিন্দপুর স্কুলের পাশের মাঠে ১১ টা নাগাদ ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে সভা করেন অজয়দে-র ঘনিষ্টরা। সম্মেলনের পর ভোজনের ব্যবস্থা ছিল। সব মিলিয়ে কার্যক্রম শেষ হতে তিনটথ বেজে যায়।
এইসম্মেলন শেষ হতে না হতেই পাশের মাঠে অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগামীরা সম্মেলন শুরু করে দেন। এই সম্নেলনেই যোগদেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিধায়ক ও ওই অঞ্চলের পর্যবেক্ষক শঙ্কর সিংহ। উক্ত ঘটনায় জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের বক্তব্য, ” আমি খোঁজ পেয়েছি এ রকম ঘটনা ঘটেছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগেই স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গৌরীশঙ্কর দত্তকে পুনরায় জেলা সভাপতির পদে নিযুক্ত করেন সেই দিনই তিনি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটাতে সতর্ক বার্তা দেন। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা নিয়ে সমলাচনার ঝড় উঠেছে ।
উক্ত সম্মেলন নিয়ে ব্লক সভাপতি সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য , ” আমরা ব্লক সভাপতির সঙ্গে আলোচানা করেই কর্মী সম্মেলন ডেকেছিলাম। চেয়েছিলাম সব নেতা থাকুন। কিন্তু দিন কয়েক আগে আচমকা করে তপন সরকার বলেন যে অজয় দে ও সাংসদ তাপস মণ্ডলকে ডাকা যাবে না। ওদের কথা শুনিনি বলই পাল্টা সভা করছে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি।” অন্যদিকে তোপন বাবুর মুখে শোনা গেল অন্য কথা তিনি বলেন , ” দুটোই দলের কর্মসূচি। প্রথমে কর্মী সম্মেলন করে খাওয়াদাওয়া হয়েছে। পরে সমাবেশ ।”
তবে কোনও পক্ষই একে অপরের সভায় যোগ দেননি। সে বিষয়ে তপন বাবুর মত, “প্রত্যেকেই দলের কাজে ব্যস্ত থাকায় দুটো কর্মসূচিতে আসতে পারেননি। অজয় দে যেহেতু কল্যানী মহকুমার পর্যবেক্ষক, তাই তাঁকে ডাকা হয়নি। জানিনা কি হয়েছে। আমাকে কেউ কিছু বলেনি এসব নিয়ে।”
পাশাপাশি অরিন্দম সিংহ দাবি করেন, ” পর্যবেক্ষক শঙ্কর সিংহের কাছ থেকে সময় নিয়ে দল কর্মসুচি নিয়েছে। আমাকে ডেকেছে তাই যাচ্ছি।” সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি ফের এক সাথে চলার বার্তা দেন।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, নির্দেশ মানছেন না মুখ্যমন্ত্রীরও
আপনার মতামত জানান -