
করোনা ভাইরাস সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশের মধ্যেকার অসন্তোষ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এবার কলকাতা পুলিশের চার নম্বর ব্যাটালিয়নের কয়েকজন জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়ে অনেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের ব্যারাকে ভাঙচুর চলে।
রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। আর রাজ্যের পুলিশ মহলে দিনকে দিন অসন্তোষ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ কেন এদিন এই ঘটনা ঘটল? জানা গেছে, কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের একজন জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এরপরই ওই আবাসনের বেশ কিছু জনকে কোয়ারেন্টাইন করে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার তাদের মধ্যে একজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
পরবর্তীতে সেখানে থাকা বাকিদের জন্য কোয়ারেন্টাইন স্থান বদল না হওয়ায়, সেই বাকি জওয়ানরাও কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, ওই আবাসনে ভাঙচুর চালাতে থাকেন প্রতিবাদকারীরা। আর এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ সেখানে আসলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হতে দেখা যায়নি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবাসিকরা কোয়ারেন্টাইন নিয়ে যে আবেদন করেছেন, তাতে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কি জানিয়েছে?
আবাসিকদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের তরফে কোয়ারেন্টাইন করে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলে পরিবারের বাকিদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। তাই সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, পুলিশের মধ্যে এই বিক্ষোভ ক্রমশ ছড়াতে শুরু করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশদের ক্ষোভ প্রশমন করতে তাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু এবার যেভাবে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সেই পুলিশ কর্মীদের ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করল, তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার রক্ষক পুলিশদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি সঙ্কটজনক আকার ধারণ করতে পারে বলেই আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। এখন পুলিশকর্মী আবাসিকদের এই বিক্ষোভ থামাতে সরকারের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।