
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতে এসেছিল যৎসামান্য আসন, আর শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বামকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরিস্থিতি যাতে, এমন না হয়, সেজন্য নির্বাচনের বহু পূর্ব থেকেই সতর্ক কংগ্রেস ও বাম দল। বাম, কংগ্রেস জোট গঠন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে একটা বড়সড় ধাক্কা দেবার পরিকল্পনা নিয়েছে এই দুই দল। আজ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আসন রফা বিষয়ে বিশেষ বৈঠক বসে ছিল বাম, কংগ্রেসের।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা করতেই আজ বাম কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বর বৈঠকে বসে। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য্য প্রমুখরা। অন্যদিকে বামেদের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রমুখরা। তবে বৈঠকে আসন রফা বিষয়ে কোনো সমাধান সূত্র আসেনি।
জানা গেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১৩০ টি আসনে লড়াই করতে চায় কংগ্রেস। অন্যদিকে আসন ধরে ধরে আলোচনা করতে চায় বাম নেতৃত্ব। আজকের বৈঠকে, আসন রফা বিষয়ে কোন সমাধান বের করা সম্ভব হয়নি। তবে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৩১ সে জানুয়ারির মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে নিতে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, সংখ্যার বিচার না করে, যেসব আসনে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেগুলি আসনে জোর দিতে কংগ্রেসকে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আজকের বৈঠকে আসন রফার বিষয়ে কোন সমাধান না হলেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বাম কংগ্রেস শিবিরের। গতকাল তৃণমূল ও বিজেপি কে তীব্র কটাক্ষ করেছে বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব। গতকাল ভাঙ্গরে কংগ্রেসের একটি জনসভা ছিল। এই জনসভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তাদের কাছে পকেটমারের মত। গত ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের দাক্ষিণ্য নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছেন। এখন আর মুসলিমদের কথা মনে করছেন না তিনি। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির থেকেও বেশি হিন্দু সাজার চেষ্টা করছেন। হিন্দুদের ভোটে ভাগ বসানোর চেষ্টা করছেন।
আবার গতকাল কলকাতা থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, তৃণমূল ও বিজেপি গোপন আঁতাত তৈরি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ” গরু ছাগল ছাড়া কেউ বিক্রি হয় না। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কটা বাড়ি? মালিক কে? আগে ছিল? প্রধানমন্ত্রী বলছেন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এতদিন তো নেওয়া হয়নি। তাহলে তো ইনি জেলে থাকতেন। রাজ্যপালের সঙ্গে চা খেতে গেলেন কেন? চা চক্রে গিয়ে ভাইপো মামলার কথা হয়েছে? ” এভাবেই, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাম-কংগ্রেস দুই দলের একযোগে আক্রমণ তৃণমূল ও বিজেপিকে। তৃণমূল ও বিজেপি কে বড়সড় ধাক্কা দিতে বিশেষ প্রস্তুতি বাম, কংগ্রেসের।