
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুধু জোট গঠন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এমন নয় প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ঘিরেও জলঘোলা হয়েছে। গত সপ্তাহেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর আহ্বাণে দলের চার সাংসদ, ২১ জন বিধায়ক, তিন শাখা সংগঠনের প্রদেশ নেতৃত্ব এবং আরও চার জন প্রদেশ স্তরের নেতা দিল্লী গিয়ে আগামী দিনে দলের জোট প্রসঙ্গে, রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে তাঁদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে এসেছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে কংগ্রেস সভাপতির আহ্বানে দিল্লী সফরকারী রাজ্যের এই সমস্ত নেতাদের মধ্যে কয়েকজন আবার প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পদের পরিবর্তনের জন্যেও আবেদন করেছেন। দলের রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন প্রসঙ্গে এই পরিবর্তনকামীদের যুক্তি রাজ্যে দলের ভাঙন বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে মূল স্রোতে ফিরে আসতে দলের সভাপতি পদের পরিবর্তন খুবই জরুরী।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
——————————————————————————————-
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
দলের এক প্রবীণ সাংসদের মতে, জাতীয় স্তরে বিজেপির মোকাবিলা এবং রাজ্যে কংগ্রেসের লোকসভা আসন ধরে রাখতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আসন সমঝোতা করা ছাড়া এই মুহূর্তে বিকল্প কোনো উপায় নেই। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীকে বহাল রেখে সেটা সম্ভব নয়। যদিও আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে অধীর বাবু বললেন , ”কেউ তো এখনও আমাদের জোটের প্রস্তাব দেয়নি। আমাদেরই কেউ কেউ একটু বেশি উতলা হচ্ছেন।” এ দিকে অধীর বাবু’র রাজনৈতিক অবস্থান এবং সিদ্ধান্তের সাথে সহমত দলের অন্য নেতাদের বক্তব্য অনুসারে জানা যাচ্ছে প্রদেশ সভাপতি সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারেননি গত চার বছরে। যে কারণে মাত্র দু’বছরে ১৫ জন বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন। এবং আগামী দিনেও এই ধারা বজায় থাকবে। যদিও এই অভিযোগের জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পরে বাংলায় কংগ্রেস লোকসভায় চারটি আসন এবং বিধানসভায় ৪৪ টি আসনে জয়লাভ করেছে। যা এ যাবত কালে হয়নি। শাসক দলের প্রলোভনের জন্যে কংগ্রেস সদস্যদের দলত্যাগের ঘটনার কারণ হিসেবে তাঁর যে কোনো ভূমিকা নেই অন্ততঃ পরিসংখ্যান সে কথাই জানান দিচ্ছে। অধীর বাবু বললেন, ”প্রদেশ তো দূরের কথা! মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের দায়িত্ব পাওয়ার জন্যও আমি কখনও সনিয়া বা রাহুল গাঁধীর কাছে দরবার করিনি। আমাকে দায়িত্ব ওঁরা দিয়েছিলেন। রাহুলজি’কে আমিও বলেছি, সংগঠনের স্বার্থে উচিত মনে করলে আমাকে সরিয়ে দিয়ে যোগ্যতর ব্যক্তির খোঁজ করুন।”