উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক অভিযোগ বিরোধীতার পর এখনো পর্যন্ত কেমন হচ্ছে ভোটপর্ব? দেখা যাক –
সমস্ত প্রস্তুতির পর ভোট দান শুরু হয়েছে প্রায় সব বুথে। কিছু সময় পরেই অভিযোগ ওঠে ফুলেশ্বর গঙ্গানাথপুর লাইব্রেরির ৭২ নং বুথে। মেশিন খারাপ থাকায় ১ঘন্টা দেরিতে পুনরায় ভোট পর্ব শুরু হয়।
এরপরই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, শাসকদল বুথ দখল করে রেখেছে। এমনকি আমতার উত্তর ভাটেরার ৮২ ও ৮৩ নম্বর বুথ থেকে অভিযোগ আসে বিজেপির এজেন্টকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকের মতে এই দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় বাম জামানর ভোটপর্বের ছবি টা । তখনও একই ভাবে বিরোধীদের বুথে বসতে না দেওয়ার চল ছিল। সেইপথেই এবার তৃনমূল।
এছাড়াও কড়াকড়ি করা হয়েছিল হাওড়া-হুগলির সীমানা উদায়ানারায়নপুর এলাকা। সামরিক বাহিনী সকাল থেকেই টহল দিচ্ছিল এই দুই জেলার সীমানায়। রবিবার রাতে অভিযোগ ছিল ওই এলাকার সীমানায় অবস্থিত সেতু পার হয়ে অনেক বহিরাগতরা ঢুকে ঝামেলা বাধানোর অভিযোগ উঠছিল। তাই ওই এলাকায় তদন্তের পাশাপাশি প্রতিটি বাইককে দাঁড় করিয়ে কাগজ পত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এখনো পর্যন্ত কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সেই ভাবে অভিযোগ নেই বললেই চলে। তবে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপির ঝান্ডা খুলে ফেলে হয়েছে অনেক এলাকায়, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী অনুপম মল্লিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিক করে ব্যবহার করা হচ্ছে না। যদিও এইসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃনমূলের প্রার্থী সাজদা আহমেদের পাল্টা অভিযোগ, পরাজয় নিশ্চিত জেনে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। যার কোনো ভিত্তি নেই। উল্লেখ্য, এর আগের নির্বাচনে ২ লক্ষ ভোটে জয়ী হন তৃনমূল প্রার্থী সুলতান আহমেদ। দলের তরফে এই ব্যবধান ৫ লক্ষের কাছাকাছি হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে আপাতত কোনো বড় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ আসেনি । কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ন ভোটদান পর্ব।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল থেকে বুথ গুলিতে তেমনভাবে ভোটারদের লাইন চোখে পড়েনি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসকদলের ভয়ে মানুষ ভোটদান কেন্দ্র পর্যন্ত আসতে ভয় পাচ্ছেন। ভোটদান সুষ্ঠুভাবে শেষ হলে শেষ হাসি তাঁরাই হাসবেন।