সিঙ্গুর নিয়ে সিঁদুরে মেখ দেখছে শাসকদল মত রাজনৈতিকমহলে। ঘর ভাঙ্গার খেলায় নেমেছেন মুকুল রায় আর তাই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি চরমে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তাই ঘর বাঁচাতে শাসকদল নানা সভা করছে। কিন্তু তাতে ফল খুব একটা ভালো যে হচ্ছে না তার প্রমান কর্মীদের সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এর প্রধান বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সম্প্রতি সিঙ্গুরে তৃণমূলের গড়ে দলবদলকে তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন বলে মনে করছেন না তাঁরা। তাঁদের মতে, সিঙ্গুর হলো তৃণমূলের সাফল্যের উত্থান ভূমি। ফলে সেখানে ভাঙ্গন মানে সামগ্রিকভাবে দলের কাছে ভুল বার্তা আর তাই এবার কড়া হাতে হাল ধরতে হবে খোদ দলনেত্রীকে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কেন এই ভাঙ্গন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যের অন্য অনেক অংশের মতোই সিঙ্গুরেও শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে। আর জানা যাচ্ছে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ আজকের নয় চার বছর আগে থেকে চলছে। এতদিন নেত্রীর হস্তক্ষেপে তা সেভাবে সামনে আসে নি। তবে মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর এটা আবার মাথা চারা দিয়েছে। তৃণমূল দলের ব্লক সভাপতি বেচারাম মান্নার সাথে স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রাক্তন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছে অনেকদিন থেকেই। তবে সামনে পঞ্চায়েত ভোট আর তাই তার আগে যদি নেত্রী এদিকে নজর না দেন তবে অঘটন কিছু ঘটতে পারে বলেও ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
সিঙ্গুর নিয়ে সিঁদুরে মেখ দেখছে শাসকদল মত রাজনৈতিকমহলে
আপনার মতামত জানান -