
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত-২ ব্লকের শাসন এলাকায় জোড়া খুনের অভিযোগে বিরোধীদের বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অভিযোগ অনুযাই বিরোধী পক্ষের কংগ্রেস এবং বিজেপির যৌথ আঁতাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। এবং ঘটনার সাথে সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টারের এক ‘শিষ্য’এর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলেও তিনি মনে করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন বিকেলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতে জয়ী হয়ে এক তৃণমূল নেতা মিছিল করছিলেন। ঐ মিছিল বেলিয়াঘাটা ব্রিজের কাছে পৌঁছলে সইফার রহমান মিছিলে আক্রমন করে।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
অভিযোগ সেই সময়ই তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে রজব আলি। ছুরি দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথেই তিনি ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের দাবি অনুযাই অভিযুক্ত রজব আলি। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এই ঘটনার পর তাঁকে ধরে ফেলে মারধর করেন। তিনি গণধোলাইয়ের জেরে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন । তাঁকে ও বারাসত হাসপাতালে নিয়ে হলে কিছু সময় পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুই ঘটনায় স্বভাবতই এলাকাউত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকার সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তকমা দিলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে আমডাঙ্গায় এক জন খুন হন। তারপর বারাসত দু’নম্বর ব্লকের শাসন সংলগ্ন এলাকায় এই খুনের ঘটনাটি ঘটে।