২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এক লড়ে রাজ্য জুড়ে ঝড় তুলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই বাঁকুড়ায় পাঁচ-পাঁচটি আসনে হেরে যায় রাজ্যের শাসকদল। আর সেই হারের পিছনে যত না বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটের মাহাত্ম্য ছিল, তার থেকেও বেশি ছিল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পরবর্তীকালে যা বকলমে মেনেও নেয় শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর সেখানে বিধানসভার হারের কোনো প্রভাব ফেলতে দিতে রাজি নয় শাসকদল। আর সেই লক্ষ্যেই গতকাল বড়জোড়া হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে জনসভা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন –
১. গত বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ভুলেই এই জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে হারতে হয়েছে দলকে, ওই কেন্দ্রগুলির মধ্যে বড়জোড়া অন্যতম
২. আমাদের লক্ষ্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়জোড়া ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনেই জয়লাভ করা
৩. আর তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে
৪. জেলার নেতারা জেলায়, ব্লকের নেতারা ব্লকে ও বুথের নেতারা বুথস্তরে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন
৫. রাজ্য সরকারের উন্নয়নের বার্তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে
৬. বিরোধীরা সভা করলে পাল্টা সভা, মিছিল করলে পাল্টা মিছিল করতে হবে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে
৭. আমরা যাঁকে দল থেকে ছুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি, তাঁকে নিয়েই এখন বিজেপি নাচানাচি করছে
৮. ওই চাটনিবাবু আবার বলছেন, বাঁকুড়ায় নাকি কয়লা, গরু পাচার চলছে, তিনি নিজেই যত অসামাজিক, অবৈধ কাজে পিএইচডি করে বসে আছেন
৯. এই সময়টা উনি মানুষের সেবা করলে, দিল্লি গিয়ে বিজেপির পাঞ্জাবি ধরে ঝুলতে হতো না
১০. আমাদের দলে যাঁর নেতৃত্বে বেনো জল ঢুকে ছিল, তাঁকেই আমরা বের করে দিয়েছি
১১. উনি ইতিমধ্যেই বাংলার ভোটার তালিকা থেকে নাম তুলে নিয়েছেন, তিনি এখন দিল্লির ভোটার
১২. এই জেলার একটিও গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে চাটনিবাবু জিতে দেখাক
১৩. রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গোটা জেলা জুড়েই উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নের কাজ যাতে আরও বেশি গতি পায়, সেই লক্ষেই বড়জোড়াতেও আমাদের জিততে হবে
১৪. বিজেপির যা অবস্থা প্রার্থী চেয়ে ওঁদের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে
১৫. কোথাও যদি উন্নয়ন হওয়ার দরকার রয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে ব্লক সভাপতির মাধ্যমে কথা বলুন