নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। কিন্তু তার মধ্যে এসে গেছে 2020। সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই এবছর রাজ্যজুড়ে পুরসভার ভোট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যের অর্ধেক জায়গা জুড়েই হবে এবার পুরসভা ভোট। আর তাতেই বিধানসভা ভোটের হাওয়া কিছুটা হলেও পরিলক্ষিত হবে। তাই সামনের দিনের হওয়া নির্বাচনগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে-পড়ে লেগেছে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।
ইতিমধ্যে বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা হওয়া শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এদিন হাঁসন বিধানসভার জনসভা বিধানসভায় একটি জনসভা থেকে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, সামনের বিধানসভা ভোটে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য তৃণমূল প্রার্থী হতে চলেছেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য্য। হাঁসনের বর্তমান বিধায়ক কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ। তিনি ত্রিদিব ভট্টাচার্য্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ছাত্রজীবনে এই মিল্টন রশিদ ছিলেন ত্রিদিব ভট্টাচার্যের ছাত্র।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সামনেই 2021 সাল এবং ওই বছরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ধীরেধীরে এবার রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি বিধানসভার নির্বাচনের জন্য একটু একটু করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রিদিব ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এদিন সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল আকারে-ইঙ্গিতে তাঁর নাম প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ত্রিদিববাবু স্বয়ং বলেছেন, “দল যে দায়িত্ব দেবে তাই পালন করব। তবে এখন প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়নি”। অন্যদিকে ত্রিদিববাবুর প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “উনি আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে উনাকে স্বাগত। গুরু শিষ্যর লড়াই হতেই পারে”।
ইতিমধ্যে আগামী দিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের রূপরেখা সাজাতে ব্যস্ত বিজেপি, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা ভোটের পর থেকেই এ রাজ্যের মসনদ দখল করতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তবে রাজ্যের মসনদ কার হাতে যাবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে 2021 সাল পর্যন্ত। তবে তার আগেই রাজ্যজুড়ে পুরভোট। আর এই পুরভোটে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুটা চাপ পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আগামী দিনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপির খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে রাজনৈতিক মহল।