
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বহু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অযোধ্যা মামলার মতন সংবেদনশীল ব্যাপারে প্রত্যেকে একই পথ অবলম্বন করেছে। দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কোনো বিতর্কিত মন্তব্যের দিকে যাননি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখা চলবে না। যা বলার তিনি বলবেন। যদিও তিনি এখনো পর্যন্ত অযোধ্যা মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
অযোধ্যার রায় বেরোনোর সাথে সাথেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এলাকার শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অযোধ্যা মামলা নিয়ে তিনি একটি কথাও প্রকাশ্যে বলেননি। শুধুমাত্র সন্ধ্যেবেলা তিনি একটি কবিতা আপলোড করেছেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংঘ পরিবার। অযোধ্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলবেন সে আশা ছিলই। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অযোধ্যা মামলা প্রসঙ্গে দলীয় প্রতিনিধিদের যে নির্দেশ দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশংসার সাথে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্রীয় প্রচারক অমিয় সরকার জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের আন্দোলন তাঁরাই শুরু করেছিলেন যদিও সে কৃতিত্বের দাবি তাঁরা করছেননা বরং দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই চলার ফলে প্রকাশ পেল হিন্দু সমাজের লড়াই করার মানসিকতা। পাশাপাশি মুসলিম সমাজকেও সুপ্রিমকোর্ট সমান গুরুত্ব দিয়েছেন তাই এই রায় সব পক্ষেই সমান কার্যকরী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছ।
অযোধ্যার রায় ঘোষণার পর থেকেই নবান্নের তরফেও নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। রাজ্যের সমস্ত থানাগুলিকে সজাগ থাকার নির্দেশ ছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ মেনে পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত জায়গায় নজরদারি চালানো হয়। বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত জায়গায় কড়া নজর রাখা হয়েছিল। অযোধ্যা মামলার মতন একটি ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে দেশের বা রাজ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন সর্বদা এক হয়ে কাজ করবে। আর শুধুমাত্র দেশের কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত বিরোধী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে এইরকম বিচক্ষণতা দেখাবেন তা বোধহয় কেউই ভাবেননি। আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।