
রাজীব কুমার এখনো পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতের নাগালের মধ্যে আসেননি। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত রাজীব কুমারের খোঁজ পাচ্ছে না সিবিআই। সিবিআই এর তরফ থেকে সমস্ত দিকে নজর রাখা হয়েছে, এমনকি রাজীব কুমারের পরিচিতদের উপরেও সিবিআই-এর নজর রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজীব কুমার রয়ে গেছেন অধরাই। যেন এক জাদুমন্ত্রবলে ভ্যানিশ হয়ে গেছেন শহরের বুক থেকে।
উল্লেখ্য, সারদা-কাণ্ডে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে সিবিআই তাঁকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায়। এরপরেই রাজীব কুমার সম্পূর্ণরূপে ভোজবাজির মতো উধাও হয়ে যান। অন্যদিকে কিন্তু রাজীব কুমার উধাও হয়ে থাকলেও কখনো সিবিআই এর কাছে আসছে তার ই-মেইল, কখনো আদালতে জামিনের আবেদন চেয়ে ওকালতনামায় সাইন দেখা যাচ্ছে তাঁর। তাহলে রাজীব কুমার কোথায়? শহরে বা শহরতলীর আশেপাশে? নাকি এদেশ ছেড়ে অন্য কোথাও? প্রশ্নের উত্তর এখনো জানা নেই।
বিরোধীরা প্রথম দিন থেকেই রাজীব কুমারের উধাও এর ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করে গেছেন। এদিন আবারও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় সেই সুরের প্রতিফলন ঘটলো। এদিন শিলিগুড়িতে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, রাজ্য সরকারই নিশ্চিতভাবে জানে, রাজীব কুমার কোথায় আছেন। কারণ, রাজীব কুমারের ওপরেই নির্ভর করছে তৃণমূল সরকারের থাকা না থাকাটা। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, একটা সময় প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের ভয়ে দোষীরা পালিয়ে বাঁচতনা, আর এখন রাজীব কুমারকেই সিবিআই এর ভয়ে চোরের মতো পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, সিবিআই চাইলেই রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম যখন সিবিআইয়ের হাত এড়াতে পারেননি, তখন রাজীব কুমারের কোন ক্ষমতাই নেই সিবিআইয়ের জাল ছিঁড়ে বেরোনোর। তিনি এও বলেছিলেন, রাজীব কুমার ধরা পড়লে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিপদ সবথেকে বেশি। কারণ সারদা মামলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের নাম উঠে এসেছিল। এসময় রাজীব কুমার ধরা পড়লে সেই সব তথ্য সামনে আসবে এবং তৃণমূল দল বিপদে পড়বে। তাই প্রথম থেকেই রাজীব কুমারকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন বলে অভিযোগ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই রাজীব কুমারের লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
প্রসঙ্গত, এ দিন আবার কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার রাজীব কুমারের জামিনের আবেদনের ভিত্তিতে নতুন মামলার দিন ধার্য করেছেন। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাজীব কুমারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আত্মসমর্পণের জন্য।
সিবিআই এর তরফ থেকে রাজীব কুমারকে ধরার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এখনো পর্যন্ত সরকারি তরফ থেকে রাজীব কুমার এর সম্পর্কে একটি মাত্র কথাও খরচ করা হয়নি। সিবিআই নবান্নে এ নিয়ে চিঠি দিলেও নবান্নের তরফ থেকে কোনো জবাবদিহি করা হয়নি। এই ঘটনায় বিরোধী দলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধীদলের দাবি, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই সিবিআইকে সাহায্য করছে না। তবে রাজীব কুমারের হদিশ পেতে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে সিবিআই। রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে সাদা পোশাকের পুলিশ প্রহরায় বসেছে। রাজীব কুমারের পরিচিতজনদের করা হচ্ছে জেরা। যদিও কোনোভাবেই রাজীব কুমারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এবার দেখার, রাজীব কুমারকে হাতে পেতে সিবিআই আগামী দিনে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে ?