
বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে জায়গা জবরদখল যাতে না হয়, তার জন্য সকলকে কড়া নির্দেশ দিতে দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তার নির্দেশই সার। এবার মাথাভাঙা শহরের রাজআমলের মদনমোহন বাড়ির দিঘীর পাড় দখল করার অভিযোগ উঠল মাথাভাঙ্গা পৌরসভার বিরুদ্ধে।
বস্তুত, বিগত পৌরসভা যখন তা বামেদের দখলে ছিল, তখন এই মদনমোহন বাড়ির দিঘিকে বুঝিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। যার জেরে স্থানীয়দের তরফে এই ব্যাপারে প্রবল প্রতিবাদ জানানো হলে পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সেই দিঘিতে সুইমিংপুল তৈরি করা হবে। কিন্তু তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে কাজের কাজ কিছুই হতে দেখা যায়নি।
তবে পরবর্তীতে এই মাথাভাঙ্গা পৌরসভা তৃণমূল দখল করার পর সেই দিঘীটি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারাও সেখানে কোনো কাজ করেনি বলে অভিযোগ। কিন্তু এবার সেই তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধেই দিঘীরপাড় দখল করার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে স্থানীয়দের তরফে ব্যাপক প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে। কেন এইভাবে ঐতিহ্যমন্ডিত এই দিঘীরপাড় ভরাটের চেষ্টা করছে পৌরসভা, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।
ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য সব আপডেট আপনাদের কাছে সবসময় পৌঁচ্ছাছে না। তাই আমাদের সমস্ত খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে যোগদিন আমাদের হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রূপে।
১. আমাদের Telegram গ্রূপ – ক্লিক করুন
২. আমাদের WhatsApp গ্রূপ – ক্লিক করুন
৩. আমাদের Facebook গ্রূপ – ক্লিক করুন
৪. আমাদের Twitter গ্রূপ – ক্লিক করুন
৫. আমাদের YouTube চ্যানেল – ক্লিক করুন
প্রিয় বন্ধু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউসারে সাথে সাথে পেতে, উপরের পপ-আপে অথবা নীচের বেল আইকনে ক্লিক করে ‘Allow‘ করুন।
এদিন এই প্রসঙ্গে শহরের বাসিন্দা তথা কোচবিহার জেলা বিজেপির সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, “মাথাভাঙ্গা মদনমোহন বাড়ির দিঘিটি কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাস্টের সম্পত্তি। কিন্তু বিগত বাম আমল থেকেই সেই দিঘিটি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা দিঘীরপাড়ে রাস্তার ধারের একাংশে একটি ঘর বানিয়ে সেখানে সাফাইয়ের কাজকর্ম সরঞ্জাম রাখা শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। কিন্তু পৌরসভার এই ব্যাপারে কোনো হেলদোল নেই।”
কিন্তু তাদের ব্যাপারে ওঠা এই অভিযোগ কি সত্যি! এদিন এই প্রসঙ্গে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মাথাভাঙ্গা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, “দিঘি দখল করার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই দিঘিটি সংস্কার করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলাম। কিন্তু দেবোত্তর ট্রাস্টের সম্পত্তি হওয়ায় আমরা সেখানে কোনো কাজ করতে পারিনি। দিঘিতে আবর্জনা কারা ফেলছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব। দিঘিটি সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এনিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলব।”
এদিকে দিঘিটি কি অবস্থায় আছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সেই দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য প্রসেনজিৎ বর্মন। সব মিলিয়ে তৃণমূল পরিচালিত মাথাভাঙ্গা পৌরসভার বিরুদ্ধে যেভাবে দেবোত্তর ট্রাস্টের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠল, তাতে তৃণমূল যে এখানে অনেকটাই বিপাকে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।