
সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল মুম্বই মহানগরী। প্রশাসনকে চাপে রাখতে গতকাল সকাল ৮ থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত বনধ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের আহ্বাণ জানিয়েছিলো আন্দোলনকারীরা। নতুন করে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে এই আশঙ্কায় গোটা মহানগরী জুড়েই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পুণের ৭ টি অতি সংবেদনশীল জায়গায় ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইন্ডিগো বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে চলা বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার জন্যে যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট যাত্রীদের সুবিধার্থে জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাভাবিক পরিবহণ ব্যবস্থা এই বিক্ষোভের কারণে বেশ বিপর্যস্ত।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
তাই সংস্থার তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যেন বিমান ধরার জন্যে হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এদিকে রাজ্যে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের ফলে স্বাভাবিক জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয় সেই জন্যে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বনধ প্রতিহত করার জন্যে সরকারী কর্মচারীদের দফতরে উপস্থিত থাকার আর্জিও জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশিই, রাজ্যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে সক্রিয় থাকার নির্দেশও দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই তিনি, সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তির জন্যে আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে তিন মাস সময় চেয়েছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে এই সময় দিতে অস্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই এদিন থেকে নতুন উদ্যোমে বনধ-বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে মারাঠা সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক বিক্ষুদ্ধ মানুষজন।
কৃষক থেকে শুরু করে মারাঠা সংরক্ষন – একের পর এক আন্দোলনে এমনিতেই বিপর্যস্ত রাজ্যের দেবেন্দ্র ফরনবীশের নেতৃত্ত্বাধীন বিজেপি সরকার। তার উপরে আগামী লোকসভা নির্বাচনে জোট ভেঙে পৃথক লড়াই করার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে সবথেকে পুরোনো জোটসঙ্গী শিবসেনা। আর তাই মহারাষ্ট্র নিয়ে ক্রমশ ঘুম উড়ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।